- এবার মামুনুর রশীদ ইস্যুতে মুখ খুললেন শাহনাজ খুশি
- কাশিমপুর কারাগারে সাংবাদিক শামসুজ্জামান
- জুটির সংকটে মাহফুজ-বুবলীতে আশার আলো
- রমজানের জুমার দিন যা যা করবেন
- শামীমের লড়াকু ফিফটিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১২৪ রান
- টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, রিশাদের অভিষেক
- পালিয়ে বিয়ের পর কিশোরীকে ভবনের ছাদ থেকে নিক্ষেপ
- কূটনীতিকদের সম্মানে বিএনপির ইফতার মাহফিল
- ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা, কমেছে ডিমের দাম
- হোয়াইটওয়াশ করতে নেমে লজ্জার হার বাংলাদেশের

নাসার পরবর্তী ‘মুন মিশনে’ চাঁদে নামার অবতরণযান তৈরি করবে স্পেসএক্স

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা তাদের আগামী চন্দ্রাভিযানের সময় যে অবতরণযানটি মানুষ নিয়ে চাঁদের বুকে নামবে – তা নির্মাণ করার দায়িত্ব দিয়েছে স্পেসএক্স-কে। স্পেসএক্স হচ্ছে ধনকুবের ব্যবসায়ী ইলন মাস্কের রকেট নির্মাতা কম্পানি।
এ দশকের শেষ দিকে আর্টেমিস নামে এক অভিযানের অংশ হিসেবে চাঁদে মানুষ পাঠাবে নাসা। এতে নভোচারীদের মধ্যে একজন নারীও থাকবেন যিনি হবেন চাঁদের বুকে অবতরণকারী প্রথম নারী। ওই অভিযানের আরো একটি লক্ষ্য হচ্ছে চাঁদে অবতরণকারীদের মধ্যে একজন অশ্বেতাঙ্গ নভোচারী রাখা।
স্পেস এক্স যে চন্দ্রযানটি তৈরি করবে তা তাদের ‘স্টারশিপ’ নামের মহাকাশযানের ডিজাইনের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হবে। এই স্টারশিপ এখন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। নাসার সঙ্গে স্পেসএক্সের এই চুক্তির মোট মূল্য হচ্ছে ২৮৯ কোটি ডলার।
এই চন্দ্রযানে কি থাকবে?
ইলন মাস্কের কম্পানি বহুদিন ধরেই স্টারশিপ নামের মহাকাশগামী রকেট-যান তৈরির কর্মসূচি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কল্পবিজ্ঞান কাহিনিগুলোতে যে ধরনের গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে ঘুরে বেড়ানো মহাকাশযানের কথা বলা হয় – সেই ভাবনা থেকেই এই স্টারশিপ তৈরি হচ্ছে। এর দীর্ঘমেয়াদি উদ্দেশ্য মঙ্গলগ্রহে মানুষের আবাস প্রতিষ্ঠা। তবে নাসার জন্য যে চন্দ্রযানটি স্পেসএক্স তৈরি করবে তার কাজ হবে ভিন্ন ধরনের।
এ যানটি মূলত চাঁদের কক্ষপথে থাকা মূল মহাকাশযান থেকে নভোচারীদের চাঁদের মাটিতে নামানো এবং সেখান থেকে আবার মূল যানে ফিরিয়ে নিয়ে যাবার কাজটি করবে। এতে থাকবে একটি কেবিন – আর দুটি ‘এয়ার লক’, যার মাধ্যমে নভোচারীরা চাঁদের মাটিতে হাঁটাচলার জন্য বেরুতে পারবেন। এর নাম হবে এইচএলএস – বা হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেম।
১৯৬০ ও ৭০ দশকে যেসব ‘লুনার মডিউল’ দিয়ে নভোচারীরা চাঁদের বুকে নেমেছিলেন – তার চাইতে এই এইচএলএস হবে অনেক উন্নত মানের। লুনার মডিউল ছিল আকারে অনেক ছোট। তাতে দুজন নভোচারীকে ঠাসাঠাসি করে বসতে হতো। এভাবেই ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত মোট ১২ জন নভোচারী চাঁদে নেমেছিলেন।
স্পেসএক্সকে নাসার এই কাজ পাবার জন্য বেশ কয়েকটি কম্পানির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিততে হয়েছে। এর মধ্যে ছিল আমাজনের মালিক জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন, লকহীড মার্টিন, নরথ্রপ গ্রুম্যান এ্যান্ড ড্রেপার, এবং ডাইনেটিক্স।
স্পেসএক্স-এর বাণিজ্যিক উপগ্রহ এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন সংক্রান্ত বেশ কিছু উদ্যোগ সম্প্রতি বিপুলভাবে সফল হয়েছে। তবে তাদের স্টারশিপ মহাকাশযানের কিছু মনুষ্যবিহীন প্রোটোটাইপ উড্ডয়নের পর অবতরণ করতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটে ধ্বংস হয়ে গেছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা।


প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: