কিংবদন্তিদের পাশে মেসি!
লিওনেল মেসির জীবনে অপূর্ণতা বলতে ছিল কেবল একটি ফিফা বিশ্বকাপ শিরোপা। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে সে আক্ষেপও পূরণ হয়ে গেছে আর্জেন্টাইন তারকার। রবিবার কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ২৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন মেসি। তারপর আর্জেন্টিনার যে দ্বিতীয় গোলটা হয়, সেটা কার্যত তৈরি করে দেন ফুটবলের রাজপুত্র মেসিই।
এদিন শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে কিংবদন্তি জিনেদিন জিদান, রোনালদিনহো, ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার ও গার্ড মুলারদের স্পর্শ করলেন মেসি। কাতার বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ব্যালন ডি‘অর জেতা বিশ্ব ফুটবলের নবম তারকা হলেন আর্জেন্টাইন এই সুপারস্টার।
এর আগে যেসব নজির গড়েছেন কিংবদন্তিরা- ১. ববি চার্লটন: ১৯৬৬ বিশ্বকাপ এবং ব্যালন ডি’অর জয় । ১৯৬৮ সালে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ইউরোপীয়ান কাপ জয়। ২. ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার: ১৯৭৪ সালে বিশ্বকাপ জয়। ১৯৭৪, ৭৫ এবং ৭৬ বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ইউরোপীয়ান কাপ জয়। ১৯৭২ এবং ৭৬ ব্যালন ডি’অর জয়।
৩. গার্ড মুলার: ১৯৭৪ বিশ্বকাপ জয়। ১৯৭০ ব্যালন ডি’অর জয়। ১৯৭৪, ৭৫, ৭৬ বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ইউরোপীয়ান কাপ জয়। ৪. পাওলো রোসি: ১৯৮২ বিশ্বকাপ এবং ব্যালন ডি’অর জয়। ১৯৮৫ জুভেন্টাসের হয়ে ইউরোপীয়ান কাপ জয়।
৫. জিনেদিন জিদান: ১৯৯৮ বিশ্বকাপ এবং ব্যালন ডি’অর জয়। ২০০২ রিয়েল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়। ৬. রিভাল্ডো: ১৯৯৯ ব্যালন ডি’অর জয়। ২০০২ বিশ্বকাপ জয়। ২০০৩ এসি মিলানের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়।
৭. রোনালদিনহো: ২০০২ বিশ্বকাপ এবং ২০০৫ ব্যালন ডি’অর জয়। ২০০৬ বার্সেলোনার হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়।৮. কাকা: ২০০২ বিশ্বকাপ জয়। ২০০৭ সালে ব্যালন ডি’অর এবং এসি মিলানের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়।
মেসির ট্রফি ক্যাবিনেট
ফুটবল বিশ্বকাপ: ১ কোপা আমেরিকা: ১ অলিম্পিক: ১ স্বর্ণ, ব্যালন ডি’ অর: ৭, লিগ: ৪, লা লিগা (স্পেনের ঘরোয়া লিগ): ১০, লিগ ওয়ান (ফ্রান্সের ঘরোয়া লিগ): ১
মেসির গোল সংখ্যা
মোট ম্যাচ: ১,০০৩, মোট গোল: ৭৯৩, বিশ্বকাপে গোলের সংখ্যা: ১৩ (আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ)। সেইসঙ্গে আটটি অ্যাসিস্ট করেছেন, যা ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ থেকে সর্বোচ্চ।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: