ইন্টারনেট
হোম / খেলাধুলা / বিস্তারিত
ADS

ফাইনালে কুমিল্লা

16 February 2022, 8:53:51

আসরের শুরু থেকেই নানা বিতর্কে জর্জরিত চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের প্লে অফে আসাটাই ছিল অনেকের কাছে বিস্ময়কর। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারেই তাদের বিপিএল অভিযান সমাপ্ত হলো। আজ মিরপুর শেরে বাংলায় অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে সুনিল নারাইনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স জিতেছে ৭ উইকেটের ব্যবধানে। সেটাও আবার ৪৩ বল হাতে রেখে! এই জয়ে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ফাইনালের মঞ্চে তারা মুখোমুখি হবে ফরচুন বরিশালের।এর আগে বল হাতে মঈন আলী-শহীদুলরা চট্টগ্রামকে চেপে ধরেছিলেন। দ্রুততম ফিফটি করে ম্যাচসেরা সুনিল নারাইন।
রান তাড়ায় নেমে শরিফুল ইসলামের করা ইনিংসের প্রথম বলেই ‘গোল্ডেন ডাক’ মারেন লিটন দাস। অপর ওপেনার সুনিল নারাইন তো রীতিমতো ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠেন। শরীফুলকে এক ছক্কা দুই চার মেরে হাত খোলার পর মিরাজের করা দ্বিতীয় ওভারে তিন ছক্কা এক চারে নেন ২২ রান। মাত্র ১৩ বলে ক্যারিয়ারের ১০ম ফিফটি তুলে নেন এই ক্যারিবীয়। যা বিপিএলের ইতিহাসের দ্রুততম ফিফটি। বিপিএলে দ্রুততম ফিফটির আগের রেকর্ডটি ছিল আহমেদ শেহজাদের। প্রথম বিপিএলের সেমিফাইনালে বরিশাল বার্নাসের হয়ে দুরন্ত রাজশাহীর বিপক্ষে মাত্র ১৬ বলে ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন পাকিস্তানি তারকা। আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ফিফটির মালিক যুবরাজ সিং (১২ বলে)।

অবশেষে ক্যারিবীয় ঝড় থামান মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ১৬ বলে ৫ চার এবং ৬ ছক্কায় ৫৭ রান করা নারিন কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফিরেন। এর সঙ্গেই ভাঙে দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের সঙ্গে তার ৩৩ বলে ৭৯ রানের টর্নেডো জুটি। বেনি হাওয়েলের শিকার হওয়ার আগে ইমরুল ২৪ বলে ২২ রান করেন। চারে নেমে ফাফ ডুপ্লেসিসও কম যাননি। মঈন আলীর সঙ্গে তার জুটি জমে ওঠে। ২৭ বলে ৫৪* রানের অবিচ্ছিন্ন এই জুটিতেই ৭ উইকেট আর ৪৩ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ডু প্লেসিস ২৩ বলে ৩০* আর মঈন ১৩ বলে ৩০* রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে আজ বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪৮ রানে অল-আউট হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। অসুস্থতা কাটিয়ে ফেরা উইল জ্যাকস আর জাকির হোসেনের ব্যাটে তারা ভালো শুরু পায়। চট্টগ্রাম শিবিরে প্রথম ধাক্কা আসে মারমুখী মেজাজে থাকা উইল জ্যাকসের বিদায়ে। শহিদুলের করা চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে উইল জ্যাকস ধরা পড়েন কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের হাতে। আউট হওয়ার আগে তার সংগ্রহ ৯ বলে ১৬ রান। এমন সময় হঠাৎ ধস নামে চট্টগ্রামের ইনিংসে। ১২ রানের মাঝে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৪ ব্যাটার। দারুণ ফর্মে থাকা চ্যাডউইক ওয়ালটনকে (২) এলবিডাব্লিউ করে দেন তানভীর ইসলাম। অপর ওপেনার জাকির হোসেন (২০) আর পাঁচ নম্বরে নামা শামীম হোসেনকে (০) ৬ষ্ঠ ওভারের পরপর দুই বলে ফেরান মঈন আলী।

৪৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলকে টেনে তোলার চেষ্টা শুরু করেন অধিনায়ক আফিফ হোসেন আর মেহেদি মিরাজ। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ১০ বলে ১০ রান করা আফিফ হোসেনকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন মঈন আলী। দুর্দান্ত ক্যাচ নেন তানভীর ইসলাম। ৫০ রানে নেই ৫ উইকেট। ম্যাচের এই পর্যায়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন আকবর আলী আর মিরাজ। ১৩তম ওভারে চট্টগ্রামের স্কোর তিন অংক ছাড়ায়। ৪০ বলে ৬১ রানের চমৎকার এই জুটি ভাঙে আকবর আলীর বিদায়ে। আবু হায়দারের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হওয়ার আগে আকবরের সংগ্রহ ২০ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৩। উইকেটে আসেন বেনি হাওয়েল। কিন্তু বড় ইনিংস খেলার সুযোগ পেয়েও তিনি রান-আউট হয়ে যান ৩ রানে। ৩৮ বলে ৩ চার ২ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪৪ রানের ইনিংস খেলা মিরাজকেও ফেরান শহীদুল। তার তৃতীয় শিকার ৯ বলে ১৫ করা মৃত্যুঞ্জয়। শেষ ওভারের প্রথম বলে নাসুম আহমেদকে (০) মুস্তাফিজ এলবিডাব্লিউ করে দিলে ১৪৮ রানে অল-আউট হয় চট্টগ্রাম। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মঈন আলী আর শহীদুল।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: