ইন্টারনেট
হোম / ধর্ম / বিস্তারিত
ADS

রমজানের জুমার দিন যা যা করবেন

31 March 2023, 2:09:25

চলছে পবিত্র রমজান মাস। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। পবিত্র এই মাসের জুমার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত আরও বেশি। দিনটি মুমিনের জন্য বিশেষ ইবাদতের দিনে পরিণত হয়। পবিত্র কুরআনে জুমার গুরুত্ব তুলে ধরে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সুরা জুমার ৯ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের জন্য আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর ইবাদতের জন্য দ্রুত যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বোঝো।’

হাদিস গ্রন্থেও পবিত্র জুমার দিনের গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ক্রীতদাস, মহিলা, নাবালেগ শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তি, এ চার প্রকার মানুষ ছাড়া সব মুসলমানের ওপর জুমার নামাজ জামাতে আদায় করা অপরিহার্য কর্তব্য’ (আবু দাউদ)।

জুমার দিনের প্রস্তুতি:

আবু দাউদের এক হাদিসে এসেছে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিনে সুন্দর করে গোসল করবে, অতঃপর তেল ব্যবহার করবে এবং সুগন্ধি নেবে, তারপর মসজিদে গমন করবে, দুই মুসল্লির মাঝে জোর করে জায়গা নেবে না, সে নামাজ আদায় করবে এবং ইমাম যখন খুতবা দেবেন, চুপ করে মনোযোগসহকারে তার খুতবা শুনবে। দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ে তার সব গুনা ক্ষমা করে দেয়া হবে’।

জুমার ফজিলত সম্পর্কে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন’ (ইবনে মাজাহ)।

ইবনে মাজাহর আরো উল্লেখ আছে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মহান আল্লাহর কাছে জুমার দিনটি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিনের মতো শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনটি আল্লাহর কাছে অতি মর্যাদাসম্পন্ন।’

জুমার দিনে আল্লাহর কাছে বিশেষ দোয়া:

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‌‘রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সঙ্গে একদিন শুক্রবারের ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন- ‘‘জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, সেই সময়টায় যদি কোনো মুসলিম নামাজ আদায়রত অবস্থায় থাকে এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দোয়া কবুল করবেন এবং এরপর রাসুল (সা.) তার হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টির সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন।’’ (বুখারি)

আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) হতে বর্ণিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- ইমামের মিম্বরে বসার সময় থেকে নামাজ শেষ করা পর্যন্ত সময়টিই সেই বিশেষ মুহূর্ত। (মুসলিম, ইবনে খুজাইমা, বয়হাকি)

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন- জুমার দিনে ১২ ঘণ্টা রয়েছে। তাতে এমন একটা সময় রয়েছে, সে সময়ে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায় আল্লাহ তা’ই দেন। অতএব তোমরা আসরের শেষ সময়ে তা তালাস করো। (আবু দাউদ, হাদিস নং : ১০৪৮, নাসাঈ, হাদিস নং : ১৩৮৯)

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: