ইন্টারনেট
ADS

কাল আবারও গৃহহীনদের ঘর উপহার দিবেন প্রধানমন্ত্রী

19 June 2021, 9:59:40

মুজিববর্ষে ভূমিহীন-গৃহহীন সব অসহায় মানুষকে নতুন ঘর উপহার দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী দিয়েছিলেন এর আওতায় আরও সাড়ে ৫৩ হাজার পরিবার নতুন ঘর পেতে যাচ্ছেন। এ নিয়ে মাঠ প্রশাসন ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বৃহস্পতি ও শুক্রবার ঘর হস্তান্তর সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে এসব ঘর দেওয়া হচ্ছে।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রোববার বিনা মূল্যে দুই শতক জমিসহ সেমিপাকা এসব ঘর পরিবারগুলোর কাছে তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘মুজিববর্ষে কেউ গৃহ ও ভূমিহীন থাকবে না’- প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বাস্তবায়নে প্রথম পর্যায়ে ঘর পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯০৪টি পরিবার। এবার এই উপহারের ঘর আরও সাড়ে ৫৩ হাজার পরিবার পেতে যাচ্ছেন।

এর মধ্যে সিলেট বিভাগে এবার ৬ হাজার ২১২টি পরিবার পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। যার মধ্যে সিলেট জেলায় ১ হাজার ৯২, সুনামগঞ্জে ৩ হাজার ৯৮০, হবিগঞ্জে ৪৪১ এবং মৌলভীবাজারের ৬৯৯ পরিবার ঘর পাচ্ছে। সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বগুড়া জেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮৫৭টি পরিবার ঘর পাচ্ছে। এর মধ্যে বগুড়া সদরে ২২৩, দুপচাঁচিয়ায় ১৫০, ধুনটে ১২০, নন্দীগ্রামে ৮০, শিবগঞ্জে ৭৩, সারিয়াকান্দিতে ৫১, সোনাতলায় ৫০, কাহালুতে ৩০, আদমদীঘিতে ২৫, গাবতলীতে ২৫, শেরপুরে ১৭ ও শাজাহানপুরে ১৩ পরিবার। জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক শুক্রবার তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

নাটোর জেলায় এবার আপন ঠিকানা পাচ্ছে ১ হাজার ৩৮১ পরিবার। এরমধ্যে সিংড়ায় ঘর পাচ্ছে ৮শ পরিবার। এছাড়া গুরুদাসপুরে ১৩৫, বড়াইগ্রাম ১৬৬, বাগাতিপাড়া ১২০, নাটোর সদরে ১০০, লালপুরে ৫০ ও নলডাঙ্গা ১০ পরিবার ঘর পাবে। জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান।

নওগাঁ জেলায় ৫০২ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে এ ধাপে ঘর প্রদান করা হবে। এর মধ্যে নওগাঁ সদরে ১০, বদলগাছীতে ৯, মহাদেবপুরে ৭৬, আত্রাইয়ে ১০, রানীনগরে ৩৩, মান্দায় ২১, পত্নীতলায় ১১৭, ধামইরহাটে ২০, পোরশায় ৭১, নিয়ামতপুরে ৭৫ এবং সাপাহারে ৬০ পরিবার। জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ এক সংবাদ সম্মেলন শুক্রবার এ তথ্য জানান।

খাগড়াছড়ি জেলায় এ পর্যায়ে ১ হাজার ৯৬৩ পরিবারকে ঘর দেওয়া হবে। এর মধ্যে মহালছড়িতে ২২১, খাগড়াছড়ি সদর ১৭৫, দীঘিনালায় ২৯১, পানছড়িতে ৩০৭, রামগড়ে ৯১, গুইমারায় ১০৯, মাটিরাঙায় ১৯৩, মানিকছড়িতে ২৭৩ এবং লক্ষ্মীছড়িতে ৪১২ পরিবার। এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস শুক্রবার এ তথ্য জানান।

হবিগঞ্জ জেলায় এবার আরও ৩৫৫ পরিবারকে ঘর প্রদান করা হবে। জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জেলায় প্রথম পর্যায়ে ৭৮৭টি গৃহ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

রাঙামাটি দ্বিতীয় পর্যায়ে জেলায় ঘর পাচ্ছে ৬২৩ পরিবার। এরমধ্যে রাঙামাটি সদরে ১৫৬, কাপ্তাইয়ে ৩৫, রাজস্থলীতে ১৭৭, বাঘাইছড়িতে ৪৫, লংগদুতে ৯১, নানিয়ারচরে ৩, জুরাছড়িতে ১০, বিলাইছড়িতে ৩৭ এবং কাউখালীতে ৬৯ পরিবার। এক সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান এ তথ্য জানান।

শেরপুর জেলায় এবার ১৬৭ পরিবার ঘর পাচ্ছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩০, নালিতাবাড়ীতে ৫০, নকলায় ৪২, শ্রীবরদীতে ২০ ও ঝিনাইগাতীতে ২৫ পরিবার। জেলা প্রশাসক আনারকলি মাহবুব বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

গাজীপুরে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২ পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হবে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৬৫, কালিয়াকৈরে ৯০, কাপাসিয়ায় ১২, শ্রীপুরে ১৫ এবং কালীগঞ্জে ২০ পরিবার। গাজীপুর জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

নেত্রকোনা জেলায় এবার ৯২৫ পরিবার জমিসহ সেমিপাকা ঘর পাচ্ছে। এরমধ্যে দুর্গাপুরে ৩৫, জেলা সদরে ৪৪, বারহাট্টায় ২৫, কলমাকান্দায় ৫০, আটপাড়ায় ৫০, কেন্দুয়ায় ৫৬, মোহনগঞ্জে ৭৫, মদনে ৮০, খালিয়াজুরীতে ৪০০ ও পূর্বধলায় ২০ পরিবার। জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় ঘর পরিদর্শন করেছেন।

কুড়িগ্রাম এ দফায় জেলায় ঘর পাবেন এক হাজার ৭০ পরিবার। এতে ব্যয় হয়েছে ২০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এর আগে প্রথম দফায় জেলায় ঘর প্রদান করা হয় এক হাজার ৫৬৯টি। জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

বাগেরহাট এ পর্যায়ে জেলার ৬৪৫ পরিবার জমিসহ পাকা ঘর পাচ্ছে। ৪৩৪ ঘর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৮৮, কচুয়া ১৭, রামপালে ৪০, মোংলায় ৫০, মোল্লাহাটে ৬০, চিতলমারী ৫০ ফকিরহাটে ১০০, মোরেলগঞ্জে ২৫ এবং শরণখোলায় ৪ ঘর। জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আজিজুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার এ তথ্য জানান।

কিশোরগঞ্জ দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৩১ পরিবারকে ঘর দেওয়া হবে। এরমধ্যে ৩৬৫ ঘরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক শামীম আলম শুক্রবার সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

কাঁঠালিয়া (ঝালকাঠি) এ পর্যায়ে উপজেলায় ৩২৮ পরিবারকে ঘর দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে চেঁচরী রামপুরে ৩২, পাটিখালঘাটায় ৪৯, আমুয়ায় ৫৪, কাঁঠালিয়া সদরে ৯১, শৌলজালিয়ায় ৫১ ও আওয়াবুনিয়ায় ৫১ ঘর। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার এক সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার এ তথ্য জানান।

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) উপজেলায় এবার ২০ পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হবে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্ণা রানী সাহা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) উপজেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫ ভূমিহীন পরিবার ঘর পাচ্ছে। এর মধ্যে ৭টি ঘরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি ৮টির কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাশেম এ তথ্য জানান।

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) উপজেলায় এবার ২২৫টি ঘর উদ্বোধন করা হবে। ইতোমধ্যে ১০০টি ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১২৫টির নির্মাণ দ্রুত শুরু হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ফেরদৌস শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায়।

মতলব (চাঁদপুর) উপজেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩০ ভূমিহীন পরিবার ঘর পাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরিফুল হাসান শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

লাকসাম (কুমিল্লা) উপজেলায় এবার ৩৫ পরিবার ঘর পাচ্ছে। এরমধ্যে লাকসাম পূর্ব ইউনিয়নে ১৪, আজগরায় ৮, বাকইয়ে ৫, মুদাফরগুঞ্জ উত্তরে ৫ ও উত্তরদায় ৩ ঘর। লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম সাইফুল আলম এ তথ্য জানান।

নোয়াখালীর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে খাস জমি ও গৃহ প্রদান করবেন। এ তথ্য জানান নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক। নোয়াখালীতে গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে দুই পর্যায়ে মোট ১ হাজার ২৮৬টি একক গৃহ বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে ১৫০টি গৃহ প্রথম পর্যায়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। অবশিষ্ট ১ হাজার ১৩৬টি গৃহের মধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে ৮৩৫টির।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: