- শেষ হলো ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা
- চিন্ময়ের পক্ষে দাঁড়াননি কোনো আইনজীবী, জামিন শুনানি ২ জানুয়ারি
- মমতার বক্তব্যকে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের হুমকি বললেন ফখরুল
- চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানি আজ
- বেনামে শেয়ার কিনে ব্যাংক দখল ঠেকানোর উদ্যোগ, নীতিমালা প্রণয়ন
- ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
- শেষ হলো ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা
আগামীকাল ডাক ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে ডাক অধিদপ্তরের নবনির্মিত আধুনিক সদরদপ্তর ডাক ভবন। দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ডাকটিকেট প্রকাশসহ নানা আয়োজন করা হয়েছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাক বাক্সের আদলে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত নান্দনিক এই ভবনটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আগারগাঁওয়ে ডাক ভবনে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ বিষয়ে বলেন, ১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর তারিখে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তৎকালীন ঢাকা জিপিও ভবনের কয়েকটি কক্ষ নিয়ে ডাক অধিদপ্তরের যাত্রা শুরু হয়। তীব্র স্থান সংকটের মধ্যে স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত ঢাকা জিপিওভবন এর তৃতীয় তলায় ডাক অধিদপ্তরের প্রশাসনিক সদর দপ্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা জিপিও প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো হয়ে যাওয়ায় ভবনটির ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ সম্ভব নয়। ফলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় দাপ্তরিক কর্মপরিবেশ ও গতিশীলতা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছিল। এ অবস্থায় ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর হিসেবে একটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ও নান্দনিক স্বতন্ত্র ডাক ভবন স্থাপন করা ছিল একান্ত জরুরি ছিল। এ সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য আন্তরিকতায় ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় উন্নত কর্মপরিবেশ ও প্রশাসনিক কাজে উদ্যম ও গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে ঢাকার শেরে বাংলা নগরে ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর হিসেবে একটি স্বতন্ত্র ভবন স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
ডাক ভবন উদ্বোধনে ডাক অধিদপ্তরের জন্য ঐতিকহাসিক এই ক্ষণটি স্মরণীয় রাখতে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করবেন বলে আশা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২০ মার্চ একনেক সভায় ডাক ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। পৌনে এক একর জায়গার ওপর ৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ডাক বিভাগের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য ভবনটি তৈরি করা হয়েছে। নবনির্মিত ডাক ভবনটিতে সুসজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক পোস্টাল মিউজিয়াম, সুপরিসর অডিটরিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, মেডিক্যাল সুবিধা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং সার্বক্ষণিক ওয়াইফাইসহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তিগত সুবিধা রাখা হয়েছে।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: