- সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ
- চুয়াডাঙ্গায় নামাজরত বাবাকে হত্যা করলো ছেলে
- বিসিবির সঙ্গে চুক্তি শেষ হতেই প্রকাশ্যে জুয়ার প্রচারে সাকি
- স্বাস্থ্যের সেই গাড়িচালক মালেকের ১৩ বছরের কারাদণ্ড
- ৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি
- যুক্তরাষ্ট্রে পার্কে বন্দুক হামলা, নিহত ৩
- সেনাপ্রধানের সঙ্গে সেদিন হাসনাত-সারজিসের যে কথা হয়েছিল

ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করা সেই মাদরাসা শিক্ষক কারাগারে

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মো. ইয়াসিন ফরহাদ (৭) নামে এক মাদরাসা ছাত্রকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় আসামি শিক্ষক হাফেজ ইয়াহিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিহান সানজিদা শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এর আগে হাটহাজারীতে মো. ইয়াসিন ফরহাদকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা করেছে তার পরিবার।
হাটহাজারী থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হারুনুর রশিদ জানান, বুধবার (১০ মার্চ) বিকেলে শিশু শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় তার বাবা মোহাম্মদ জয়নাল বাদী হয়ে মারকাজুল কোরআন ইসলামি অ্যাকাডেমি মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে বিকেলে হাটহাজারী পৌরসভার কামাল পাড়া পশু হাসপাতালের পাশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. তৌহিদ। গ্রেফতার হাফেজ ইয়াহিয়া রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সাফরভাটা গ্রামের মোহাম্মদ ইউনুসের ছেলে।
জানা যায়, পৌরসভার কামাল পাড়ায় মারকাজুল কুরআন ইসলামী একাডেমি মাদরাসায় মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিকাল ৫টার সময় ছাত্র ইয়াসিন ফরহাদের জন্য মা খাবার দিয়ে চলে যাওয়ার সময় সে তার মায়ের সাথে চলে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে। এ সময় ছাত্রের মা ছেলেকে যেতে নিষেধ করে। কিন্তু সে মাদরাসায় থাকতে নারাজ। তারপর মা চলে যাওয়ার সময় সে আবার দৌড় দিয়ে মায়ের আগে পালিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে অভিযুক্ত শিক্ষক ছাত্র ইয়াসিন ফরহাদকে ধরে মাদরাসায় নিয়ে বেদম প্রহার করে। এমন মারধরের দৃশ্য মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করে স্থানীয় জনৈক যুবক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।
এরপর তড়িঘড়ি করে মাদরাসাশিক্ষক হাফেজ ইয়াহিয়াকে বুধবার (১০ মার্চ) ভোরেই স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। এসময় অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ছাত্রের পরিবার মামলা করতে আগ্রহ প্রকাশ না করায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।


প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: