- সাবের হোসেন চৌধুরীর ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ
- শেরপুরে বন্যায় ৮ জনের প্রাণহানি
- শীত কবে আসবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ২৫ হাজার কোটি টাকা
- হিজবুল্লাহর রকেটের আঘাতে কাঁপল ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর
- সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর: ড. ইউনূস
- পালিয়ে দিল্লি গেলেন পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা মনিরুল
পবিত্র ঈদুল ফিতর আজ
মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর আজ। করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ও ভীতির মধ্যেই আজ সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ মোবারক।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবারের ঈদ আনন্দের সবকিছুতেই ভাটা পড়েছে। করোনার কারণে গত দুই ঈদের মত এবারও নানা বিধিনিষেধ ও শঙ্কার মধ্যে ঈদ উদযাপন করছে দেশবাসী। এই ঈদেও বড় জামাত করে নামাজ পড়া যাবে না। মসজিদেই পড়তে হবে ঈদের নামাজ। করা যাবে না কোলাকুলি ও করমর্দন।
বাংলাদেশের পাশাপাশি এই অঞ্চলের বহু দেশে আজ উদযাপন হচ্ছে ঈদুল ফিতর। একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেছে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে ও ইউরোপ, আমেরিকার বিভিন্ন দেশ।
গত বছরের ঈদ এবং এবারের ঈদের সঙ্গে তার আগের সময়ের ঈদ উদযাপনের রয়েছে আকাশ-পাতাল ফারাক। সংক্রামক ব্যাধির কারণে অনেকটাই ভিন্নভাবে উদযাপন করা হচ্ছে এই ঈদ। মানতে হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যেতে হচ্ছে ঈদের জামাতে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের জন্য বিরত থাকতে হচ্ছে কোলাকুলি ও মুসাহাফার মতো আবেগ ঘনিষ্ঠ সমাদর থেকেও।
চলমান লকডাউনে আন্তঃজেলা পরিবহন বন্ধ রেখেছে সরকার। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় না যেতে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সরকারের সে নির্দেশনা উপেক্ষিত হয়েছে। ঈদের তিন দিন আগে থেকেই ঢাকা ছেড়ে যেতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল ফেরিঘাটে। পণ্যবাহী ও জরুরি যানসহ অন্যান্য যানচলাচলের জন্য ফেরি চলাচল করলে সেখানে বাড়ির পথে যাওয়া মানুষের ভিড় ছিল মাত্রাতিরিক্ত। নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে, বাড়তি ভাড়া গুণে বাড়ি পৌঁছেছে মানুষ।
প্রতিবারের মতো এবারও ঈদ উপলক্ষে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
এছাড়া জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো ঈদ সংখ্যা ছাড়াও বিশেষ ক্রোড়পত্র বের করেছে। সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছে বিশেষ অনুষ্ঠান।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কয়েক দফা শর্তগুলো হলো
করোনা সংক্রমণ রোধে ঈদের জামাতের বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় কয়েক দফা শর্ত দিয়েছে। শর্তে বলা হয়েছে- নামাজের সময় মসজিদে গালিচা বিছানো যাবে না, নামাজের আগে পুরো মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে মুসল্লিদের, সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, মসজিদে প্রবেশের আগে সাবান দিয়ে হাত ধৌত করতে হবে, মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না, নামাজের কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
এছাড়া ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্যও অনুরোধ করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: