- নিজের অবসরের ঘোষণা নিয়ে মুখ খুললেন মাহমুদউল্লাহ
- জাতিসংঘে চিঠি দিয়ে সতর্ক করলেন ইমরান খান
- সুনামগঞ্জের সাবেক এমপি মানিক গ্রেপ্তার
- মুক্তি পেলেন সাবের হোসেন চৌধুরী
- দুর্গাপূজা শুধু হিন্দুদের নয়, এটি এখন সার্বজনীন উৎসব : প্রধান উপদেষ্টা
- নায়ক জসিম স্মরণে শিল্পী সমিতির দোয়া মাহফিল
- কৈশোরে পা রাখা সন্তানের খাবার তালিকায় যা রাখবেন
- লেবাননে আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন বাংলাদেশিরা
- স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
- পূজার স্পেশাল রেসিপি: ‘মুরাদাবাদী চিকেন বিরিয়ানি’
১২ মে আসছে চীনের ৫ লাখ টিকা
চলতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে নয়, ১২ তারিখ দেশে আসছে চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি পাঁচ লাখ ডোজ করোনার টিকা।
সোমবার ঢাকায় এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ৩ মে স্বাস্থমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক বলেছিলেন ১০ মে’র মধ্যে চীন থেকে টিকা আসবে। কিন্তু রাষ্ট্রদূতের তথ্য অনুযায়ী আরও দুদিন অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশকে।
চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, চীনের টিকার চাহিদা অনেক দেশের আছে। তাই বাণিজ্যিকভাবে যেটা বাংলাদেশ পেতে চায়, সেই টিকা পেতে বাংলাদেশের সময় লাগবে।
চীনের কয়েকটি টিকার মধ্যে বাংলাদেশ শুধু সিনোফার্মের টিকার জরুরি অনুমোদন দিয়েছে জনিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাণিজ্যিকভাবে টিকা পেতে বাংলাদেশ ৩০ এপ্রিল প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ আগেই অনুমতি দিলে চীনের টিকা আগে পেত।’
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘চীনের উপহারের টিকার জন্য বাংলাদেশকে ৩ ফেব্রুয়ারি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। অথচ এই অনুমোদনের জন্য দীর্ঘ তিন মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে।
গত ৪ মে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ঈদুল ফিতরের আগেই চীনা টিকা পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে গণমাধ্যমে কথা বলেন। তিনি বলেন, ঈদের আগে টিকা দেয়ার জন্য চীন সরকার কাজ শুরু করেছে।চীনে মে দিবসের পাঁচদিনব্যাপী ছুটি চলছে। এই ছুটি ৫ মে শেষ হবে। ছুটির কারণে সেখানে সব কিছু বন্ধ রয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় সরকার দেশের ১৩ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। সেই লক্ষ্যে গত নভেম্বরে সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ টিকা আনতে চুক্তি করে সরকার, যা দেশে এনে দেবে ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা আসার কথা ছিল। তবে জানুয়ারিতে প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ, ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ মিলিয়ে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া ভারত সরকারের উপহার হিসেবে পাওয়া গেছে আরও ৩২ লাখ ডোজ টিকা।
ভারতে করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় দেশটি টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ফলে বাংলাদেশের কেনা বাকি ২ কোটি ৩০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার ‘স্পুটনিক-ভির’ এবং চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: