- থার্মোমিটারের কাজ করবে গুগলের ফোন
- টয়লেটের পানির ছিটা কাপড়ে লাগলে সেটা পরে কি নামাজ হবে?
- আরও ম্যাচ বাড়তে পারে আইপিএলে
- বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সম্পর্ক সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ: প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী
- লোডশেডিংয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে ঘর ঠাণ্ডা রাখবেন যেভাবে
- খালি পেটে পেঁপে খেলে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্যসহ যেসব রোগ
- রাশিয়ার উৎসবে পুরস্কৃত ‘আম কাঁঠালের ছুটি’
- বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন আজ
- আসছে আরও একটি ঘূর্ণিঝড়, আগামী সপ্তাহে তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ
- মানকচু পোড়ায় চিংড়ি বাটা রেসিপি

রোগী বাড়লে সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে বেখেয়ালিপনা আর অসতর্কতার কারণে দেশে আবার করোনা সংক্রমণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) ‘খাদ্যের কথা ভাবলে, পুষ্টির কথাও ভাবুন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আর কত চিকিৎসা দেব, হাসপাতালে আর কত শয্যা বাড়াব। কত হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলা দেব, আমরা কত অক্সিজেনের ব্যবস্থা করব। হাসপাতাল তো আর রাতারাতি বৃদ্ধি করা যায় না। হাসপাতালের বেডও তো রাতারাতি বাড়ানো যায় না। তারপরও আমরা এই অল্প সময়ের মধ্যে আড়াই হাজার বেড থেকে ৭/৮ হাজার বেড বৃদ্ধি করেছি। দশ গুণ রোগীও আমরা সামাল দিতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু তারপরও বাড়লে আর সম্ভব হবে না।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনার প্রথম ঢেউ সামাল দেওয়া গেছে। এক সময় দৈনিক মৃত্যু নেমে এসেছিল ৫-৭ জনের মতো, আর সংক্রমণ ছিল সাড়ে ৩০০-৪শ’র নিচে। মানুষের বেখেয়ালিপনা আর অসতর্কতার কারণে এখন আবার বেড়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় গেলাম, মাস্ক পরলাম না, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলাম না। এই কারণে দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে। একই কাজ যদি আমরা আবার করি তাহলে তৃতীয় ঢেউ আবার আসবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা চাই করোনা থেকে যেন আমরা রক্ষা পাই। আশা করি, আমরা যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাই, আমাদের জীবনযাত্রা যেন ভালো হয়। আমাদের যেন পুষ্টিকর খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা থাকে।
ভার্চুয়াল এ আলোচনা সভায় বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, পরিবার পকিল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, জাতীয় পুষ্টিসেবার লাইন ডিরেক্টর ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ বক্তব্য দেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার দশ দিন পর ১৮ মার্চ একজনের মৃত্যু হয়। দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর টানা ৬৬ দিন ‘লকডাউন’ করে দেওয়া হয় পুরো দেশ। পরবর্তীকালে সংক্রমণ কমতে থাকায় সব বিধিনিষেধও শিথিল করা হয়। কিন্তু চলতি বছর মার্চে আবার সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে শুরু করেছে। ফলে আবারও লকডাউন করে দেয়া হয়েছে গোটা দেশ, যা আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।


প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: