দেশের প্রথম ক্যাম্পাস ভিত্তিক বিজনেস ইনকিউবেটর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
আইটি উদ্যেক্তাদের উন্নয়ন ও জ্ঞান-ভিত্তিক অর্থনীতি ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস-ভিত্তিক বিজনেস ইনকিউবেটরের যাত্রা শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সকালে চুয়েট ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে চুয়েট ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র বর্ণিল আলোকসজ্জা এবং বিভিন্ন রঙের ব্যানার, ফেস্টুন ও বেলুন প্রদর্শন করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের নামে গড়া এই আইটি বিজেনস ইনকিউবেটর শিল্প ও একাডেমিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও শিক্ষার্থীরা তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
ইনকিউবেটরের লক্ষ্য আইটি উদ্যোক্তাদের বিকাশ করা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার জন্য জ্ঞান-ভিত্তিক অর্থনীতি সম্প্রসারণ করা।
বিজনেস ইনকিউবেটর প্রায় ২২০ উদ্যোক্তা, প্রশিক্ষণার্থী, ফ্রিল্যান্সার এবং সম্ভাব্য স্টার্টআপকে মেন্টরশিপের পাশাপাশি আর্থিক ও লজিস্টিক পরিষেবা প্রদান করবে।
ইনকিউবেটরে বিটিসিএলের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়িত এই প্রকল্পে ৫০ হাজার বর্গফুট জায়গাসহ ১০ তলা পর্যন্ত একটি ডিম্বাকৃতির ইনকিউবেশন বিল্ডিং অন্তর্ভুক্ত। প্রতিটি ফ্লোরে জায়গা রয়েছে পাঁছ হাজার বর্গফুট।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ জামাল ও রোজি জামালের নামে যথাক্রমে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য দুটি পৃথক চারতলা ডরমেটরিও খুলে দেন। দুটি ভবনের মোট আয়তন ৪০ হাজার বর্গফুট এবং প্রতিটি ডরমিটরিতে ৪০টি কক্ষ রয়েছে।
এছাড়াও, একটি ছয় তলা বহুমুখী প্রশিক্ষণ ভবন রয়েছে যার মোট ফ্লোর এলাকা ৩৬ হাজার বর্গফুট এবং প্রতিটি ফ্লোরে ছয় হাজার বর্গফুট।
ইনকিউবেশন বিল্ডিংটিতে একটি স্টার্টআপ জোন, ইনোভেশন জোন, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিক জোন, ব্রেনস্টর্মিং জোন, একটি এক্সিবিশন সেন্টার, একটি ই-লাইব্রেরি জোন, একটি ডেটা সেন্টার, রিসার্চ ল্যাব, ভিডিও কনফারেন্সিং রুম এবং একটি কনফারেন্স রুম রয়েছে।
এছাড়াও ব্যাংক এবং আইটি ফার্ম, সাইবার ক্যাফে, ফুড কোর্ট, ক্যাফেটেরিয়া, রিক্রিয়েশন জোন, ডিসপ্লে জোন এবং মিডিয়া রুমগুলোর জন্য আলাদা কর্নার থাকবে।
অতিরিক্তভাবে, বহুমুখী প্রশিক্ষণ ভবনে ২৫০ জন ধারণক্ষমতার একটি অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম এবং 50 জনের ধারণক্ষমতার চারটি কম্পিউটার/সেমিনার কক্ষ রয়েছে।
একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ল্যাব, একটি মেশিন লার্নিং ল্যাব, একটি অপটিক্যাল ফাইবার ব্যাকবোন, একটি সাবস্টেশন এবং একটি সোলার প্যানেলও স্থাপন করা হচ্ছে।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: