- ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- বাংলাদেশ-ভারত সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা উচিত: প্রধানমন্ত্রী
- দেশে ফিরেছেন সাকিব, খেলছেননা আফগানিস্তানের বিপক্ষে
- ওয়ারীতে গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণে দগ্ধ
- ভোটাধিকার কেড়ে নিলে মানুষ মেনে নেয় না: প্রধানমন্ত্রী
- ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে নিম্নচাপ, তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়
- ইউক্রেনের বিশাল বাঁধ ধ্বংস, পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ
- সিলেটে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১৩
- জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এ রকম কোনো সংকট দেশে হয়নি: ওবায়দুল কাদের

এক সপ্তাহের লকডাউন শুরু

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রকোপ সম্প্রতি আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে গেছে। এ প্রেক্ষিতে সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে আগামী সাতদিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। আগামী ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত থাকবে এই লকডাউন।
এর আগে রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে লকডাউন ঘোষণা ও এই সময়ে পালনের জন্য ১১টি বিধি-নিষেধের কথা জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সর্বশেষ রোববার বিকেলের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৫৩ জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৯ হাজার ২৬৬ জনে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৭ হাজার ৮৭ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৪ জনে দাঁড়াল।
এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন দেয়া হল। এই সময়ে সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। জরুরি কাজ করতে সরকারি ও বেসরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। বন্ধ থাকবে মার্কেট ও দোকান। হোটেল-রেস্তোরাঁ খাবার বিক্রি করতে পারবে, তবে হোটেলে বসে খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে খোলা থাকবে শিল্প-কারখানা।
মানতে হবে যেসব বিধি-নিষেধ
১. সকল প্রকার গণপরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা, জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া, বিদেশগামী/বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।
২. আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।
৩. সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও আদালত এবং বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবলকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা-নেওয়া করতে পারবে। শিল্প-কারখানা ও নির্মাণ কার্যাদি চালু থাকবে। শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেয়া করতে হবে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে শিল্প-কারখানা এলাকায় কাছাকাছি সুবিধাজনক স্থানে তাদের শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল/চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সংকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
৫. খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরায় বসে খাবার গ্রহণ করা যাবে না।
৬. শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। তবে দোকান, পাইকারি ও খুচরা পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে কেনাবেচা করতে পারবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বাবস্থায় কর্মচারীদের মধ্যে আবশ্যিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং কোনো ক্রেতা স্বশরীরে যেতে পারবে না।
৭. কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনা-বেচা করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
৮. ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
৯. সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ঢাকায় সুবিধাজনক স্থানে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
১০. সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।
১১. এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: