ইন্টারনেট
হোম / Breaking News, জাতীয় / বিস্তারিত
ADS

সিমলা সংলাপ: আঞ্চলিক শান্তি নিশ্চিতের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত ঢাকার

18 February 2022, 9:24:16

ভারত ও বাংলাদেশের সংসদ সদস্য, নীতিনির্ধারক ও থিংকট্যাংকারগুলোকে নিয়ে দুদিনের একটি হাই-প্রোফাইল সংলাপ শুরু হয়েছে হিমাচল প্রদেশের শৈল-শহর সিমলাতে। শুক্রবার শুরু হওয়া ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ডায়ালগ’ নামে তাৎপর্যপূর্ণ এই প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

সংলাপে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

‘ভারতের জন্য বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সংলাপের দশম রাউন্ডের উদ্বোধনী অধিবেশনের বক্তব্যে তিনি এই অঞ্চলে এবং এর বাইরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নীতিতে পরিচালিত বাংলাদেশ শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বিশ্বাস করে। যাতে প্রতিটি দেশ নিজেদের সম্পদ ও শক্তি ব্যবহার করে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরস্পারিক স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।

বাংলাদেশের ঈর্ষণীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর ফলে বাংলাদেশের অংশীদারদের জন্য নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হবে।

তিনি বক্তব্যে মানুষে মানুষে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে নীতিনির্ধারক, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের ভূমিকা তুলে ধরেন।

ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ এই সংলাপের আয়োজন করেছে। শনিবার দুই দিনের এ সংলাপ শেষ হবে।
এর আগে ২০১৯ সালে কক্সবাজারে নবম দফা সংলাপের আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর, ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিং, রাম মাধব, সদস্য, গভর্নিং কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন। তাৎপর্যপূর্ণ এই প্ল্যাটফর্মে বিজেপির আদর্শিক অভিভাবক হিসেবে পরিচিত রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘ-আরএসএস নেতারাও এবার যোগ দিচ্ছেন।

বাংলাদেশের পক্ষে দিল্লিতে বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান, তার পূর্বসূরী তারিক করিম ও বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমশের মোবিন চৌধুরী সংলাপে বক্তব্য দেবেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, মির্জা আজম, অসীম কুমার উকিল সংলাপে অংশ নিচ্ছেন।

মৈত্রী সংলাপের লক্ষ্য কী?

গত সাত-আট বছর ধরে এই প্ল্যাটফর্মটি মূলত দুই দেশে ক্ষমতাসীন দুই দল-বিজেপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে মতবিনিময়ের মঞ্চ হিসেবেই কাজ করে এসেছে। বেশ উঁচু পর্যায়েরই প্রতিনিধিত্ব থাকে এতে।

এই সংলাপে ভারতের পক্ষ থেকে অংশ নেবেন এমন একাধিক রাজনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, সম্প্রতি যে সব বিষয় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অস্বস্তি বয়ে এনেছে সেগুলোকে সমাধানের লক্ষ্যে কীভাবে আরও ভালো ভাবে চিহ্নিত করা যায়, তা নিয়েও সিমলাতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হবে বলে কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে।

দুটো বন্ধু দেশ নিজেদের মধ্যে সেরা সম্পর্কের লক্ষ্যে সন্দেহের মেঘগুলো দূর করার চেষ্টা করে এই সংলাপে।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: