- এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার
- সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- ১২ কেজির সিলিন্ডারে দাম বাড়ল ২৬৬ টাকা
- আইসিইউতে বাবা, দোয়া চাইলেন তাহসান
- ২৪ ফেব্রুয়ারি আবারও হামলা শুরু করতে পারে রাশিয়া: ইউক্রেন
- হাথুরুকে কেন ফিরিয়ে আনা হলো, জানালেন পাপন
- অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক পাতাল রেল: প্রধানমন্ত্রী
- বাইডেনের বাড়িতে ৪ ঘণ্টা তল্লাশি এফবিআইয়ের
- যুবদলের সভাপতি টুকু কারামুক্ত
- দেশের প্রথম পাতাল রেল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন আজ

তাণ্ডবের মাশুল দিতে হবে ৫০ বছর: আইজিপি

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, পুড়িয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধংস করা মানে উন্নয়ন না চাওয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভূমি অফিসে দেড় থেকে দুইশ বছরের পুরোনো রেকর্ড ছিল, যা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। আগামী ৫০ বছর এই ক্ষতির মাশুল দিতে হবে। তারা জনগণকে শিক্ষা দিতে চায়। কালেকটিভ পানিশমেন্ট দিতে চায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবের পরে আইজিপি বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে পরিদর্শন শেষে বিকেল ৩টার দিকে জেলা সার্কিট হাউসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব ও সদর উপজেলা ভূমি অফিস, দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে আর্থিক অনুদান তুলে দেন।
এসময় আইজিপি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ অফিস ও বাসভবনে হামলা চালানোর মতো জঘন্য কাজে ব্যবহার করা হয়েছে মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। মাদ্রাসার এতিম শিশু, দ্ররিদ্র পরিবারের শিশুরা থাকে। এখানে ধনী পরিবার থেকেও অনেকে আসে। তাদের দিয়ে যে ধংসাত্মক কর্মকাণ্ড করা হলো তার ঘৃণা প্রকাশের ভাষা জানা নেই। তারা রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন করতে চান। এরসঙ্গে আধ্যাতিকতার কোনো সম্পর্ক নেই।
পুলিশপ্রধান বলেন, দেশটাতো আমাদের সবার। দেশের সম্পদ ধংস করে আপনি রাজনীতি করবেন কীভাবে? আমরা একটি সন্ত্রাসী দেশে পরিণত হতে চাই না। আমরা যখন ৫০তম স্বাধীনতা উদযাপন করছি, তখন এসব দেশবিরোধী কাজ করা হলো। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্টে যেখানে আইনের শাসন রয়েছে, সেখানে এসব করা যায় না।
আইজিপি দুপুর ১টার দিকে প্রথমে প্রেস ক্লাব পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
সেদিন হেফাজতের নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাব, ব্যাংক এশিয়া, দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, পৌরসভা এবং উপজেলা ভূমি অফিস ভাঙ্গচুর করে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয় এসব স্থাপনা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হেফাজতের কর্মীরা ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ সেখানে হামলা চালায়। ২৭ মার্চ তারা প্রেস ক্লাব, ভূমি অফিস আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এসব ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে। কিন্তু এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের নেতা মনির হোসেন বলেন, এখন সরকারের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কি এই মৌলবাদিদের সঙ্গে থাকবে? তারা এমন নৃশংসতা করেছে অথচ কেউই গ্রেপ্তার হয়নি।
হেফাজতের তাণ্ডবের পর কয়ে কদিন পার হয়ে গেছে। এখনও কেন জড়িতরা গ্রেপ্তার হয়নি- এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, অধৈর্য হওয়ার কিছু নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, ডিআইজি অপারেশন খুরশীদ হোসেনসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।


প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: