ইন্টারনেট
ADS

পতিত জমিতে ফসল ফলাতে মাটির ওপর গবেষণা চলছে: প্রধানমন্ত্রী

27 June 2021, 9:57:08

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের বহু জমি এখনও পতিত পড়ে আছে। সেই পতিত জমিতে কীভাবে ফসল ফলানো যায় তার জন্য মাটির উপরে গবেষণা চলছে। সেখানে গবেষণায় আমরা সাফল্য অর্জন করেছি।

রবিবার (২৭ জুন) ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৪’ প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে যুক্ত হন তিনি।

ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসতে নিয়ে আসা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিভিন্ন চরাঞ্চলে, বিশেষ করে শীতের সময় চরাঞ্চলের মাটি নিয়ে গবেষণা করে আমাদের গবেষকরা সেটা আবিষ্কার করেছে। সেখানে নানা ধরনের ফসল উৎপাদন হচ্ছে। যেসব এলাকায় এক সময় কোনো ফসল হতো না, এখন সেই সব এলাকায় নানা ধরনের ফসল উৎপাদন হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘করোনা আসার পর বাংলাদেশ শুধু নয়, বিশ্বব্যাপী একটা স্থবিরতা এসে গেছে। যেটা সবচেয়ে দুঃখজনক। আমাদের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশের জন্য সবচেয়ে কষ্টকর। আমরা করোনাকালে সাধারণ মানুষ যেন কষ্ট না পায় তার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।’

আরও পড়ুন:
পানি সম্পর্কিত বিপর্যয় নিরসনে বিশ্বব্যাপী শক্তিশালী সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

সবাইকে স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেহেতু করোনায় আবার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ব্যাপকহারে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে গেছে। কাজেই সবাই একটু সাবধানে থাকবেন। নিজেকে নিরাপদে রাখবেন, নিজের পরিবারকে নিরাপদে রাখবেন। সেটা আমার বিশেষভাবে অনুরোধ। এই অবস্থা আমরা মোকাবিলা করতে পারব।’

এ সময় করোনা মোকাবিলায় ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা সাধারণ মানুষের জন্য যতগুলো পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় আসে তারা একে একে সবই বন্ধ করে দেয়। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য এই বাংলাদেশে আমরা দেখেছি ৯১ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসে, কৃষকরা সারের জন্য আন্দোলন করেছিল। ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছিল। কৃষক সার পায়নি, পেয়েছিল গুলি।’

৩২ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান পেলো বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তখন আমরা বলেছিলাম, আমরা আওয়ামী লীগ যদি সরকারে আসি সারের জন্য কৃষকদের গুলি খাওয়া তো দূরের কথা দৌড়াদৌড়িও করতে হবে না। কৃষকের ঘরে পৌঁছে দেব। সেই সময় আমরা স্লোগান তুলেছিলেন ‘কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’। কৃষকদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছিল খালেদা জিয়া সরকার।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এবং তাদের খাদ্য নিরাপত্তা দেওয়া। সেজন্য ভোট ও ভাতের অধিকারের আন্দোলন আমরা শুরু করি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ব্যাপক বরাদ্দ দিচ্ছি। এখন তো করোনাভাইরাসের যুগ। মাত্র ১০ টাকায় একজন কৃষক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। সেই সঙ্গে কৃষি উপকরণের যে টাকাগুলো, সেটা তাদের কাছে যাতে সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে চলে যায় সেই ব্যবস্থাটাও আমরা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারই কৃষকদের সবচেয়ে বেশি মর্যাদা দেয়। শুধু তাই না, আমরা বর্গাচাষীদের বঞ্চিত করিনি। বিনা জামানতে বর্গাচাষীদের আমরা ঋণ দেওয়া শুরু করি। তার উদ্দেশ্য ছিল, তারা যেন সর্বশক্তি নিয়োগ করতে পারে উৎপাদনে। আমাদের মাটি এত উর্বর যে একটু গবেষণা করলে যেকোনো ফসল উৎপাদন করা যায়।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। আরও বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: