- রাজশাহী সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ
- সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন আর নেই
- জেনে নিন স্ট্রোকের অস্বাভাবিক লক্ষণগুলো
- মানকচু পোড়ায় চিংড়ি বাটা রেসিপি
- বাজেট নিয়ে আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন আজ
- এবারও বাজেট বাস্তবায়নে সফল হবে সরকার: অর্থমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সম্পর্ক সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ: প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী
- লোডশেডিংয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে ঘর ঠাণ্ডা রাখবেন যেভাবে
- রাশিয়ার উৎসবে পুরস্কৃত ‘আম কাঁঠালের ছুটি’
- ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৮৮

সাবেক এমপি আউয়াল চার দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে

রাজধানীর পল্লবীতে ব্যবসায়ী সাহিনুদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা হত্যা মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এমএ আউয়ালকে চার দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৬ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তারের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন জিআর শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন আসামিকে চার দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে শুক্রবার (২১ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসির আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে এমপি এমএ আউয়ালকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সাহিনুদ্দিনকে (৩৩) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার নেপথ্যে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান, তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এমএ আউয়াল জড়িত আছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সাহিনুদ্দিনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন নিহতের মা আকলিমা বেগম। তিনি বাদী হয়ে পল্লবী থানায় আউয়ালসহ ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে আকলিমা বেগম উল্লেখ করেছেন, গত ১৬ মে বিকাল ৪টায় সুমন ও টিটু নামে দুই যুবক সাহিনুদ্দিনকে জমির বিরোধ মেটানো হবে উল্লেখ করে ফোন দিয়ে ডেকে নেন। সাহিনুদ্দিন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে পৌঁছালে সুমন ও টিটুসহ ১৪/১৫ জন তাকে টেনে-হিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যায়। এসময় সাহিনুদ্দিনের ছয় বছরের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে ছিল। গ্যারেজে ঢুকিয়ে তাকে সন্ত্রাসীরা চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, রামদা দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এরপর তাকে ওই বাড়ি থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে নিয়ে ফের কুপিয়ে সেখানে ফেলে রেখে চলে যায়। ছেলের সামনেই নৃশংসভাবে খুন হন সাহিনুদ্দিন।
আকলিমা বেগমের অভিযোগ, পল্লবীর সেকশন-১২ বুড়িরটেকে আলীনগর আবাসিক এলাকার হ্যাভেলি প্রোপার্টিজ ডেভেলপার লিমিটেডের এমডি এমএ আউয়ালের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাড়া করা স্থানীয় সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে। আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের ১০ একর জমি জবরদখলে বাধা দেওয়ায় খুন হতে হয় তাকে।


প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: