ইন্টারনেট
হোম / আইন-আদালত / বিস্তারিত
ADS

সুপ্রিম কোর্ট বারের ফল জটিলতা: সম্মান রক্ষার চেষ্টায় জেষ্ঠ্য আইনজীবীরা

29 March 2022, 10:25:41

দুই সপ্তাহ পার হলেও ঘোষণা হয়নি সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনের ফল। বিষয়টি নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন আইনজীবীরা। তাই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের জেষ্ঠ্য আইনজীবীরা নিজেদের সংগঠনের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় নড়চড়ে বসেছেন। ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনসহ জেষ্ঠ্য আইনজীবী ও বারের সাবেক শীর্ষ নেতারা নিজেদের মধ্যে এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। কীভাবে উদ্ভূত পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটিয়ে দ্রুত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা যায় আইনজীবীরা সেই চেষ্টা শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।

রবিবার ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। গত ১৫-১৬ মার্চ সভাপতি ও সম্পাদকসহ ১৪টি কার্যনির্বাহী পদের জন্য সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন(২০২২-২০২৩) বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রার্থী ছিলেন ৩৩ জন।

নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ‘বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ’ এবং বিএনপি সমর্থিত ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য’ প্যানেলের মধ্যে।

নির্বাচনে পাঁচ হাজার ৯৮২ জন আইনজীবী ভোট দিয়েছেন। জেষ্ঠ্য আইনজীবী এ. ওয়াই মসিউজ্জামানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের উপকমিটি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।

বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও হঠাৎ সম্পাদক পদে পুনরায় ভোট গণনা চেয়ে আবেদন করেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী আবদুন নূর। পরে এ নিয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এক পর্যাদয়ে পদত্যাগ করেন নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক। এ কারণে এখনো ফল ঘোষণা হয়নি।

আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অতীতে দুই পক্ষের সম্মতিতে পুনরায় ভোট গণনার নজির থাকলেও নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির আহ্বায়কের পদত্যাগ সমিতির ইতিহাসে কখনো ঘটেনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফল ঘোষণায় অচলাবস্থার সৃষ্টিতে উদ্বেগ জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, হাবিবুল ইসলাম ভূইয়া, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, সাবেক সভাপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনও। তারা সবাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এর শান্তিপূর্ণ সমাধান আশা করছেন।

বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে জেষ্ঠ্য আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য ও লজ্জাকর। আইনজীবীদের মধ্যে রাজনীতি ঢুকে যাওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে। আমি ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা চেষ্টা করছি সমাধান করার। সবাইকে মিলে কাজ করতে হবে।’

এই অবস্থার নিরসনে সাবেক সভাপতিসহ জেষ্ঠ্য আইনজীবীদের এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘ভোটের পর যা হলো এটা দুঃখজনক। বারের সুনাম ও মর্যাদা কোনোভাবে নষ্ট করা যাবে না। সাবেক নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসতে হবে। একটা সম্মানজনক সমাধান হবে।’

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘নির্বাচন উপ-কমিটির আহ্বায়কের সঙ্গে এ ব্যাপারে আমার যোগাযোগ হয়েছে। যে ঘটনাটি ঘটেছে এটি খুবই বিব্রতকর। সুষ্ঠু, সুন্দর ভোটের পর সব প্রার্থী যখন ভোট নিয়ে সন্তুষ্ট তখন একজন প্রার্থী এটা মানছেন না। পরে যা ঘটেছে তাও দুঃখজনক। সাবেক নেতৃবৃন্দ, সিনিয়র আইনজীবীরাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। আশা করি শিগগিরই এই জটিলতার অবসান হবে।
ব্যারিস্টার কাজল এবারের নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: