ইন্টারনেট
হোম / আইন-আদালত / বিস্তারিত
ADS

মডেল তিন্নি হত্যা মামলার রায়ের অপেক্ষা

15 November 2021, 10:20:17

ঢাকার কেরানীগঞ্জে মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলায় বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আজ দিন ধার্য রয়েছে। সোমবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরী ১৯ বছর আগে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মামলাটির রায় ঘোষণা করবেন।

গত মঙ্গলবার মামলাটির রায় হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ নতুন করে যুক্তিতর্ক শুনানির আবেদন করায় বিচারক ১৫ নভেম্বর রায়ের নতুন তারিখ ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আমিনুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘গত মঙ্গলবার তিন্নি হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মামলাটির রায় স্থগিত করে পুনরায় যুক্তিতর্কের আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে। সোমবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছে।’

মডেল তিন্নি হত্যা মামলার একমাত্র আসামি নব্বইয়ের দশকের ছাত্রদল নেতা গোলাম ফারুক অভি। যিনি পরবর্তীতে জাতীয় পার্টির টিকিটে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিন্নি হত্যা মামলা ছাড়াও অন্য আরেকটি হত্যা মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে বর্তমানে তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে খুন হন মডেল তিন্নি। এর আগে ৬ নভেম্বর তিন্নিকে তার স্বামী সাক্কাত হোসেন পিয়ালের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করেন সাবেক সাংসদ অভি। ওই দিনই পিয়ালকে তার দেড় বছর বয়সী মেয়েসহ বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর বিয়ের জন্য অভিকে চাপ দেন তিন্নি। তাদের সম্পর্কের কথা সাংবাদিকদের কাছে ফাঁস করার কথাও বলেন।

তারই জেরে ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে মাথায় আঘাত করে তিন্নিকে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ওই রাতেই বুড়িগঙ্গার ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ওপর থেকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু পানিতে না পড়ে লাশটি পড়ে সেতুর পিলারের উঁচু অংশে। পরদিন সকালে ওই লাশ ঘিরে জমে উৎসুক জনতার ভিড়।

এরপর কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহালের পর ময়নাতদন্ত করে। মর্গে চার দিন রাখার পর ১৫ নভেম্বর অজ্ঞাত হিসেবে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয় তিন্নিকে। এদিকে তিন্নির চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করেন। লাশ উদ্ধারের দিন একই থানায় একটি হত্যা মামলা করেন থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক শফি উদ্দিন। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে।

পরে ২০০২ সালে ২৪ নভেম্বর মামলাটি চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে সিআইডিকে তদন্তভার দেওয়া হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের এএসপি মোজাম্মেল হক একমাত্র আসামি হিসেবে গোলাম ফারুক অভির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এবং ৪১ জনকে সাক্ষী করেন। এছাড়া এই মামলায় ২২টি আলামত জব্দ করা হয়।

২০১০ সালের ১৪ জুলাই ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তিন্নি হত্যা মামলায় আসামি অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পরের বছরগুলোতে অভিযোগপত্রভুক্ত ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এবার সোমবার রায় ঘোষণার পালা। আপাতত সেদিকে তাকিয়ে তিন্নির পরিবার।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: