- শেষ হলো ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা
- বেনামে শেয়ার কিনে ব্যাংক দখল ঠেকানোর উদ্যোগ, নীতিমালা প্রণয়ন
- চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানি আজ
- শেষ হলো ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা
- মমতার বক্তব্যকে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের হুমকি বললেন ফখরুল
- ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
- চিন্ময়ের পক্ষে দাঁড়াননি কোনো আইনজীবী, জামিন শুনানি ২ জানুয়ারি
করোনা হলে মুখের স্বাদ ফেরাবেন যেভাবে
করোনা অসুখের পর মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। যেহেতু করোনাভাইরাস আক্রমণ করছে শ্বাসযন্ত্রে। আর তাই করোনায় আক্রান্তের ফলে চলে যাচ্ছে স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি।
গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব কোষ ঘ্রাণশক্তিকে সক্রিয় রাখে সেই কোষকেই আক্রমণ করছে করোনাভাইরাস। সেই কোষ তখন অন্য সংক্রমণ রুখতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। ফলে তাদের মূল কাজ থেকে সরে আসতে হচ্ছে। যে কারণে ঘ্রাণকোষগুলো আর কাজ করছে না। কোনও জিনিসের গন্ধ পেলেও সেই সংকেত মস্তিষ্ক পর্যন্ত যাচ্ছে না।
জ্বর বা সর্দি খুব বেশি না থাকলেও করোনায় আক্রান্ত হবার পাঁচ দিনের মাথায় চলে যাচ্ছে এই স্বাদ আর গন্ধের অনুভূতি। চিকিৎসাবিজ্ঞানে যার নাম ‘অ্যানোস্মিয়া’। প্রাথমিক পর্বেই হারিয়ে যাচ্ছে ঘ্রাণশক্তি।
যাদের কোনো শারীরিক সমস্যা থাকছে না তাদেরও ক্লান্তি কাটতে আর মুখের স্বাদ ফিরতে বেশ সময় লাগছে। কারণ করোনায় আক্রান্ত হলে খাবারের রুচি থাকে না। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শের পাশাপাশি মেনে চলতে পারেন কিছু ঘরোয়া উপায়।
চিকিৎসকেরা বলছেন, মূলত উদ্বেগের কারণেই চলে যাচ্ছে খাওয়ার ইচ্ছা। করোনা সংক্রমিতদের মধ্যে উদ্বেগ খুবই প্রকট। এমন ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, মাঝেমধ্যে হাল্কা শ্বাসের ব্যায়াম করা। বেশি নয়, খুব অল্প। যেমন ঘরের মধ্যে বা ছাদে গিয়ে কিছু ক্ষণ হাঁটাহাঁটি করা যায়। গান গাইতে ভাল লাগলে তা-ও করা যায়। করোনার ক্লান্তি খুব কঠিন। ফলে এটুকু করতেই অনেকটা চেষ্টা প্রয়োজন। তবে মানসিক সমস্যায় হাল্কা শ্বাসের ব্যায়াম সাহায্য করে। এতে অন্য কাজ করতে ইচ্ছা বাড়ে।
করোনায় রোগীর মুখ, জিভ এবং শরীরের ভিতর এতই শুকিয়ে যায় যে, আর খাওয়ার ইচ্ছা হয় না। এমন ক্ষেত্রে বারবার পানি খাওয়া প্রয়োজন। শক্ত খাবার ভাল না লাগলে দুধ, ফলের রসের মতো তরলও খাওয়া যায়। এরই সঙ্গে দিনে অন্তত একবার খুব ভাল ভাবে গোসল করা প্রয়োজন। ক্লান্তির কারণে অনেক সময়ে বিছানা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছা করে না। তবে রোজের কাজ অবহেলা করলে চলবে না। ঘুম, স্নান, পরিচ্ছন্নতা রক্ষার স্বাভাবিক নিয়ম বজায় রাখতে পারলে খাওয়ার ইচ্ছাও ফিরবে।
আপনার হারানো গন্ধ ও স্বাদের অনুভূতি আনতে সাহায্য করতে পারে রসুন। রসুনের তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ এক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। ২ থেকে ৩ কোয়া রসুন পানিতে দিয়ে গরম করুন। একটু ঠান্ডা করে পান করুন। এভাবে দিনে দুইবার খান। এতে ঘ্রাণকোষ ঠিকমতো কাজ করবে আর আল্প দিনের মধ্যে স্বাদও ফিরবে।
ভিটামিন সি এর ভালো উৎস হলো লেবু। এর গন্ধও সতেজ অনুভূতি দেয়। ভাইরাল, ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা আছে লেবুর। বন্ধ নাক খোলা, সর্দি কফ দূর করতে লেবু বেশ কার্যকরী। করোনা আক্রান্তরা প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানিতে লেবু আর মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
পুদিনার সুন্দর গন্ধ মন ও শরীরকে সতেজ রাখে, স্নায়ুকে শান্ত রাখে। এটি স্বাদ ফেরাতেও সাহায্য করে। চা তৈরির সময় পানির মধ্যে চা পাতার সঙ্গে কিছু পুদিনা পাতাও দিয়ে দিন। এতে স্বাদ, গন্ধ দুটোই ফিরবে।
এছাড়া দুধ থেকে তৈরি বিভিন্ন খাবার যেমন দই, পনির এবং আইসক্রিম- স্বাদে যেমন ভালো তেমনি পেটের জন্যও উপকারী। পাশাপাশি প্রোটিনে ভরপুর। তাছাড়া এ খাবারগুলো মুখরোচক হওয়ায় রুচি ফেরাতে সাহায্য করে।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: