‘আইবিডি’র লক্ষণ ও করণীয়
পরিপাকতন্ত্রে মারাত্মক প্রদাহ সৃষ্টিকারী একটি রোগ ‘ইনফ্লেমেটরি বাওয়েল ডিজিজ’ বা ‘আইবিডি’। বিশ্বে প্রায় এক কোটি আইবিডি রোগী আছে। এই রোগ সম্পর্কে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের সরকার ও স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানানোর উদ্দেশ্যে প্রতিবছর ১৯ মে ‘বিশ্ব আইবিডি দিবস’ পালিত হয়। এ বছরের স্লোগান হচ্ছে—যেকোনো বয়সেই হতে পারে আইবিডি রোগ।‘আইবিডি’ বা ‘ইনফ্লেমেটরি বাওয়েল ডিজিজ’ দুই ধরনের হয়ে থাকে।
আলসারেটিভ কোলাইটিস : এটি প্রধানত বৃহদন্ত্রে প্রদাহ বা আলসার তৈরি করে থাকে।
ক্রন্স ডিজিজ : এই রোগে পরিপাকতন্ত্রের যেকোনো অংশ (মুখ থেকে পায়ুপথ) আক্রান্ত হতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শুধু ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদন্ত্র অথবা উভয় অংশই আক্রান্ত হতে পারে।
লক্ষণ
– ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা
– পেটে ব্যথা
– মলের সঙ্গে রক্ত যাওয়া
– মৃদু জ্বর অনুভূত হওয়া
– ক্লান্তি ভাব
– শরীরের ওজন কমে যাওয়া
– খাবারে অরুচি
‘আইবিডি’ হলে অন্ত্রনালি সরু হয়ে যাওয়া, ফিস্টুলা, চোখ, ত্বক ও অস্থিসন্ধির প্রদাহজনিত অসুখ, কোলন ক্যান্সার ইত্যাদিও হতে পারে।
করণীয়
‘আইবিডি’ সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য রোগ না হলেও নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের মাধ্যমে এ রোগ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণযোগ্য। ক্ষেত্রবিশেষে ‘আইবিডি’তে আক্রান্ত রোগীদের সার্জারিও প্রয়োজন হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই ওষুধ বন্ধ করা বা ডোজ পরিবর্তন করা উচিত নয়। ওষুধের সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করবেন। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রোগের কোনো লক্ষণ না থাকলেও নিয়মিত চিকিৎসকের ফলোআপে থাকবেন। জটিলতা দেখা দিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। রোগের তীব্রতা এবং লক্ষণগুলোর ওপর নজর রাখবেন। চিকিৎসায় নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রোগের লক্ষণ/উপসর্গ ফের দেখা দিলে চিকিৎসককে অবহিত করবেন।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. মুহাম্মদ সায়েদুল আরেফিন
সহকারী অধ্যাপক, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: