ইন্টারনেট
হোম / স্বাস্থ্য / বিস্তারিত
ADS

ব্যায়াম করেও কেন কমছে না ওজন

18 September 2021, 6:47:00

শারীরিক স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন থেকে মুক্তি পেতে ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি নিজেকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে সঠিক মাত্রায় শরীরচর্চা করছেন কিনা সে বিষয়ে জানতে হবে। অতিরিক্ত এক্সারসাইজ কিংবা জিমে গিয়ে অযথা ঘাম ঝড়ানো কিন্তু শরীরকে খারাপ করার লক্ষণ। এর ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য ব্যায়াম করতে গিয়ে উল্টো অজান্তেই কি ডেকে আনছেন বড় বিপদ, জেনে নিন।

ব্যায়াম করেও কেন কমছে না ওজন

প্রতিটি জিমেই একজন প্রশিক্ষক থাকেন যিনি বলে দেন, কার জন্য কোন ব্যায়ামটি উপকারী এবং কতটুকু সময় ব্যায়াম করা উচিত। এছাড়া কোন ব্যায়ামটি কী পরিমাণে করলে শারীরিক ক্ষতি হবে না। তারপরেও অনেকেই সেই মাত্রা অতিক্রম করেন। তার সঙ্গে সাংঘাতিক মাত্রায় ডায়েট যোগ করলে শরীর ভীষণ দুর্বল হয়ে যায়।

ব্যায়াম করেও কেন কমছে না ওজন

যেসব ব্যায়াম শরীরকে ক্লান্ত করে না, শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে এমনকি হজম বৃদ্ধি করে, খিদে বাড়ায় সেটিকে ব্যায়ামের আওতায় ধরা হয় কিংবা তাকেই সঠিক ক্রিয়াকলাপ বলা হয়। সাধারণত, ব্যায়াম সামগ্রিকভাবে শরীরে পুষ্টি জোগায়। চেহারার দীপ্তি এবং দেহের পেশী উন্নত করে। শারীরিক সহনশীলতা বাড়ায় এবং স্থিতিশীলতা, অলসতা দুর করে।স্থূলতা কম করতে ব্যায়ামের থেকে ভালো কিছুই নেই। কিন্তু ভুল ব্যায়ামে ওজন কখনোই কমে না।

ব্যায়াম করেও কেন কমছে না ওজন

প্রতিদিন কী মাত্রায় ব্যায়াম করা উচিত

গরমের সময়টাতে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ খানিকটা কম করাই ভালো। এমনিতেই গ্রীষ্মকালের ৬ থেখে ৭ মাস শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হয়। এবং শরীরে পানির প্রয়োজনীয়তা বেশি থাকে। তাই গরমকালে অতিরিক্ত শরীরচর্চা না করাই ভালো।

ব্যায়াম করেও কেন কমছে না ওজন

আবার শীতকালে ঘাম একেবারেই হয় না। ওই সময়টাতে ওজনও বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পায়। তাই যতক্ষণ না পর্যন্ত মনে হবে শক্তি প্রায় অর্ধেক ততক্ষণ ব্যায়াম করা যেতে পারে। অবশ্যই মনে রাখতে হবে পুষ্টিকর খাবারের বিষয়টি। পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট শরীরে না গেলে শরীরের ধারণক্ষমতা ক্রমশই কমবে এবং টিস্যু ক্ষয়ের সঙ্গে সঙ্গে নানান ক্ষতি হতে পারে।

ব্যায়াম করেও কেন কমছে না ওজন

ব্যায়ামের নিয়ম কানুন

প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে কোন বয়সের মানুষ আপনি। বয়স্কদের অতিরিক্ত ব্যায়াম না করাই শ্রেয়। এছাড়া যারা পিত্ত রোগ কিংবা পিসিওএস কিংবা বদহজমে ভুগছেন তাদেরও ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। শিশুরা সবসময়ই দৌড়াদৌড়ি করে তাই তাদের অত্যধিক ব্যায়ামের দরকার নেই। যাদের জয়েন্ট এবং অন্যত্র ব্যথা হয় তাদেরও ব্যায়ামের বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সকার বা বিকালে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটা এবং যোগব্যায়াম ভীষণ কার্যকরী। সবশেষে যে বিষয়টি আবারো মনে করে দেওয়া উচিত, সেটা হলো, শরীরকে ফিট রাখতে গিয়ে ভুল ব্যায়াম করবেন না। এতে ওজন মবে না। বরং ক্লান্তি, অসুস্থতা শরীরে ভর করবে।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: