ইন্টারনেট
হোম / অর্থনীতি / বিস্তারিত
ADS

পেঁয়াজের দাম নেমেছে অর্ধেকে, বেড়েছে আলুর

22 March 2024, 3:08:08

কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজধানীর বাজারে ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম অবশেষে কমেছে। ধরন ভেদে রাজধানীতে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। অন্যদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় আলুর দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

এদিন সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দোকানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাল্লা (৫ কেজি) হিসাবে নিলে এর থেকে আরও কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন খুচরা দোকানদাররা। দাম কমার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত ১-২ সপ্তাহ আগে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়। বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির লোভে কৃষকেরা নতুন হালি পেঁয়াজ পরিপক্ক হওয়ার আগেই প্রচুর পেঁয়াজ উঠিয়ে ফেলেছেন। আর সেই পেঁয়াজ বাজারে আসতে থাকায় সরবরাহ বেড়ে গেছে। একারণে বর্তমানে পেঁয়াজের দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে গেছে। তাছাড়াও এখন হালি পেঁয়াজ উঠানোর মৌসুম চলছে, যে কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।

এদিকে গত সপ্তাহে যে আলু বিক্রি হয়েছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, আজ দাম আরও বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা।

আলুর দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, রমজান মাস হওয়ার কারণে আলুর চাহিদা বর্তমানে বেশি। আর এই সময়ে বাজারে আলুর সরবরাহ অনেকটা কম। একারণে দাম কিছুটা বেড়েছে।

এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে অধিকাংশ সবজির দামই কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে। শুক্রবার বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়। অথচ গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয় ৮০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত।

এ ছাড়া ১০ থেকে ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০, ঢেঁড়স ৫০, পটল ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। লাউ আকারভেদে প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

১০ টাকা কমে প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আর এক কেজি পরিমাণ কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ টাকায়। খুচরা সবজি দোকানদারেরা বলেন, ভারী বৃষ্টিপাত ও রোজার শুরুর সময় থেকে চাহিদা কমে যাওয়ায় সব ধরনের সবজির দাম কমতে শুরু করেছে।

তবে সবজির বাজারে স্বস্তির খবর এলেও মাছের বাজারে তেমন কোনো স্বস্তির খবর পাওয়া যায়নি। আগের মতোই প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৪০, পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, রুই ৩০০ থেকে ৪৫০, বিগহেড ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, কৈ ২০০ থেকে ৪৫০, নদীর কাঁচকি ২০০ থেকে ২৫০, পোয়া ২৮০ থেকে ৭০০, শিং ৪৫০ থেকে ৮০০, চান্দা ১৬০ থেকে ২০০, পাবদা ২২০ থেকে ৩৪০ ও সরপুঁটি ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, অন্যান্য পণ্যের মতো আগে থেকেই বাজারে মাছের বাজার চড়া। তবে নতুন করে মাছের দাম না বাড়লেও মাংস ও ডিমের বাজার এখনো চড়া। তাই ক্রেতাদের কাছে মাছের চাহিদা বেশ বেড়েছে।

ডিম ও মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি ডজন ডিম ও ব্রয়লারের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১৫ থেকে ৩২০ টাকা। এ ছাড়া ১০ টাকা কমে প্রতি ডজন ডিম ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বাজারে রোজার শুরু থেকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়তে থাকা ফলের দামের তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। আগের মতো চড়া দামে প্রতি কেজি পাকা পেঁপে ২০০ টাকা, তরমুজ ৬০-৮০, সাদা আঙুর ৩২০-৩৫০, গ্রিন আপেল ৩২০, গালা ৩২০ থেকে ৩৫০, নাশপাতি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আনার ৪০০, মালটা ৩২০, বরই ১৪০, প্রতিপিস ( ছোট) আনারস ৪০, প্রতি ডজন চাঁপা কলা ৯০ টাকা, দেশি কলা ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: