- সাবের হোসেন চৌধুরীর ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ
- শীত কবে আসবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- শেরপুরে বন্যায় ৮ জনের প্রাণহানি
- পালিয়ে দিল্লি গেলেন পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা মনিরুল
- সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর: ড. ইউনূস
- আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ২৫ হাজার কোটি টাকা
- হিজবুল্লাহর রকেটের আঘাতে কাঁপল ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর
আজ চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেও পুরোপুরি সচল আছে চট্টগ্রাম বন্দর। কঠোর লকডাউনের মধ্যেও বন্ধ হয়নি বন্দরের কার্যক্রম। সার্বিক এই অগ্রগতি নিয়েই আজ রোববার ২৫ এপ্রিল বন্দর দিবস পালন করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চ মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে ৩৬৬টি জাহাজ এসেছিল। কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল ২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৬৯ টিইইউস, কার্গো হ্যান্ডলিং ছিল ১ কোটি ২ লাখ ৬৪ হাজার ৪০২ মেট্রিক টন। ২০২১ সালের মার্চ মাসে জাহাজ এসেছে ৩৭৬টি। কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৬ টিইইউস, কার্গো হ্যান্ডলিং ১ কোটি ১০ লাখ ৪২ হাজার ৮১৮ মেট্রিক টন।
এক বছরের ব্যবধানে কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৭ শতাংশ এবং জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৭ শতাংশ। এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে লকডাউন কথা কঠোর বিধিনিষেধ শুরুর প্রথম দিন ১৪ এপ্রিল ৫ হাজার ১৫১ টিইইউস কনটেইনার খালাস হয় এই বন্দরে। ১৫ এপ্রিল ৩ হাজার ১২২, ১৬ এপ্রিল ৩ হাজার ৫৯৮, ১৭ এপ্রিল ৩ হাজার ৫, ১৮ এপ্রিল ৩ হাজার ৫৫০, ১৯ এপ্রিল ২৫৮৩, ২০ এপ্রিল ৩ হাজার ৮০৪, ২১ এপ্রিল ৩ হাজার ৮৭০ ও ২২ এপ্রিল খালাস হয়েছে ৩ হাজার ৫৫৯ টিইইউস।
গত বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পরও কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৭ টিইইউস। ২০১৯ সালে হয়েছিল ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ১৮৭ টিইইউস। ২০১৮ সালে ২৯ লাখ ৩ হাজার ৯৯৬ ও ২০১৭ সালে ২৬ লাখ ৬৭ হাজার ২২৩ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছিল চট্টগ্রাম বন্দর।
১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহন শুরু হয়। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কনটেইনার পরিবহনেও সার্বিক অগ্রগতি আসে গত এক দশকে। বৈশ্বিক তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থানও গত এক দশকেই ওপরের দিকে যেতে শুরু করে। ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল বিশ্বের ব্যস্ততম বন্দরের মধ্যে ৬৪তম।
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, করোনার কারণে উন্নত বিশ্বের অনেক বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হলেও চট্টগ্রাম বন্দর ২৪ ঘণ্টা চালু ছিল। কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের সময় পণ্য খালাস প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। কিন্তু অল্প সময়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছিল।
গত বছরের অভিজ্ঞতা কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা এবং বন্দরের অপারেশন স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করছে। চলতি লকডাউনের মধ্যে খালাস স্বাভাবিক রয়েছে। কোন ধরনের জট নেই বন্দরে।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: