মুরগিতে কিছুটা স্বস্তি, সবজির বাজার এখনো চড়া
এবার শীত মৌসুমজুড়ে রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম বিগত বছরগুলোর তুলনায় ছিল বেশি। শীতের বিদায় হতে চললেও কমার নাম নেই সবজির দাম। এ নিয়ে মানুষের মাঝে অসন্তোষের শেষ নেই। তবে মুরগির দাম রয়েছে ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে। ফলে সাধারণ মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণের এ উপাদান নিয়ে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেছে ভোক্তাদের মাঝে।
শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, শ্যামলী সমবায় বাজার, আগারগাঁও বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে বাজার দরের এ চিত্র পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের মতই বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা যা গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে ছিল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। সেই সঙ্গে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে কেজি ছিল ২৫০ টাকা এছাড়া লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২৫ থেকে ২৩০ টাকা। গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহেও কেজি ছিল ২৩০ টাকা।
শ্যামলী বাজারের মুরগি বিক্রেতা মিন্টু শেখ বলেন, শীতে সাধারণত মুরগির দাম কমে। বাজারে বর্তমানে যে পরিমান মুরগির আমদানি রয়েছে সে অনুযায়ী চাহিদা ও বিক্রি কম। তাই বাজারে মুরগির দাম কমেছে।
এদিকে সরেজমিনে রাজধানীর সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে গোল আলু (নতুন) বিক্রি হচ্ছে ৭ কেজি ১০০ টাকা দরে এবং পেঁয়াজ (নতুন )বিক্রি হচ্ছে ৭ কেজি ২০০ টাকা দরে। এছাড়া বিগত সপ্তাহগুলোর মতই বাজারে আজও চড়া দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন সবজির আমদানি বাড়লেও দামে কোনো প্রকার প্রভাব পরছে না এসব সবজির।
এসব বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। তবে শিমের ভেতরে বড় বিচি যুক্ত শিম বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, বড় ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বড় বাঁধাকপি ৪০ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাঁজর প্রতি কেজি ৫০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, আকারভেদে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে প্রতিকেজি ৩০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকা এবং কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা।
সবজির বিক্রেতা মাহবুবুর রহমান বলেন, বেশি দামে পাইকারি বাজার থেকে আমাদের সবজি কিনে আনতে হয় তাই কিছু লাভ না হলে কেমন করে চলবো। বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
তবে চলতি মৌসুমে সবজির দাম না কমার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সঠিক কোন তথ্য দিতে পারেন নাই।
এছাড়া বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকা। বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। দেশি ডালের কেজি ১২০ টাকা। ইন্ডিয়ান ডালের কেজি ১০০ টাকা।
এসব বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের দাম। সরেজমিনে রাজধানীর মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের মতই এই সপ্তাহে এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা প্রতি পিস, ছোট ইলিশ মাছ কেজি প্রতি ৩৫০ থেকে শুরু করে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। চিংড়ি মাছ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। রুই মাছ ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। কাতল মাছ ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা।
এসব বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: