ইন্টারনেট
হোম / অর্থনীতি / বিস্তারিত
ADS

বিশ্ববাজারে টানা ৬ সপ্তাহ জ্বালানি তেলের দরপতন

5 December 2021, 10:39:31

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম টানা ছয় সপ্তাহ ধরে কমছে। যা ২০১৮ সালের পর সবচেয়ে বেশি সময় ধরে দরপতনের ঘটনা। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই এ ঘটনা ঘটল। বিশ্ববাজারে চলতি সপ্তাহেও জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে ওমিক্রন আতঙ্কে একদিনেই জ্বালানি তেলের দাম কমেছে প্রায় ১০ মার্কিন ডলার। তারও পাঁচ সপ্তাহ আগে থেকে বিশ্ববাজারে তেলের দাম ছিল নিম্নমুখী। খবর ব্লুমবার্গ ও রয়টার্স।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের ধাক্কায় তেলের বাজারে মন্দাভাব সৃষ্টি হয়েছে। মূল্য হ্রাসে বড় প্রভাব রয়েছে ওমিক্রন আতঙ্কের। বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা, করোনার নতুন এই ধরন ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়লে জ্বালানি তেলে চাহিদায় আবারও ধস নামতে পারে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের চাপে নতি স্বীকার করে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে বিশ্ববাজারে দৈনিক আরও চার লাখ ব্যারেল তেল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে ওপেক ও তার মিত্ররা। এতে করে তেলের চাহিদা কমে যাওয়ার শঙ্কার মধ্যে তেলের সরবরাহ বাড়লে বিশ্ববাজারে দাম আরও কমে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম কমেছে অন্তত ২ দশমিক ৮ শতাংশ। গতকাল বিশ্ববাজারে ডব্লিউটিআই তেলের দর শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ পড়েছে। অর্থাৎ শূন্য দশমিক ২৪ ডলার কমে প্রতি ব্যারেল বিক্রি হচ্ছে ৬৬ দশমিক ২৬ ডলারে। অপরিশোধিত তেলের আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অর্থাৎ শূন্য দশমিক ২১ ডলার কমে ব্যারেলপ্রতি ৬৯ দশমিক ৮৮ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া হিটিং অয়েলের দাম শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ পতন হয়েছে। অর্থাৎ ২ দশমিক ০৯৮ ডলার কমে প্রতি ব্যারেল বিক্রি হচ্ছে। গত নভেম্বরে বিভিন্ন বাজার আদর্শে পণ্যটির গড় দরপতন হয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। ওন্ডা করপোরেশনের জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক এড ময়া বলেন, এমনিতে স্বল্পমেয়াদি চাহিদা পরিস্থিতি খুবই নড়বড়ে, তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র যদি নতুন বিধিনিষেধ দেয়, তাহলে চলতি মাসের শেষের দিকে বাজারে অতিরিক্ত তেল সরবরাহ দেখা যেতে পারে।

করোনার প্রকোপের মধ্যে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যাচ্ছিল ২০২০ সালের নভেম্বর থেকেই। তবে ২০১৮ সালের অক্টোবরের পর প্রথমবারের মতো অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল ৭৫ ডলারে উঠে আসে গত জুনে। এরপর অক্টোবরে এসে তেলের দাম বৃদ্ধির পেলে আবার নতুন করে হাওয়া লাগে। এতে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে এসে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৮৪ ডলার ছাড়িয়ে যায়, যা ছিল গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমাতে নভেম্বরের শেষের দিকে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা দেশগুলো নিজেদের মজুত ব্যবহারের ঘোষণা দেয়। এতে কিছুটা প্রভাবিত হয় তেলবাজার। গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে করোনার নতুন আরেকটি ধরন (ওমিক্রন) শনাক্ত হওয়ার খবর জানায়। গতকাল পর্যন্ত ধরনটি বিশ্বের প্রায় ৪০ দেশে শনাক্ত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে নতুন করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। এর প্রভাবে কমতে শুরু করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। তবে বিশ্ববাজারে কমলেও বাংলাদেশে কমছে না তেলের দাম। নেপথ্যে অনাহুত কারণ দেখাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। এতে হতাশ দেশের সাধারণ জনগণ। এ নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন ভোক্তা থেকে শুরু জ্বালানি বিশেষজ্ঞরাও।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: