আবার বাড়লো মুরগির দাম, সবজির দামও চড়া
সপ্তাহের মধ্যে রাজধানীর বাজারগুলোতে দাম কমে আবারও এক দফা বেড়েছে মুরগির দাম। গত সপ্তাহে বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১৭০ টাকা বিক্রি হলেও সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে কেজিতে ২০ টাকা কমে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহ শেষ হতে না হতেই আবারও মুরগির দাম বেড়ে রাজধানীর বাজারগুলোতে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে মিশ্র ভাব বিরাজ করছে সবজির বাজারে। কিছু সবজির দাম বেড়েছে আবার কমেছে কিছু সবজির দাম।
শুক্রবার রাজধানীর শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, আগারগাঁওসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে বাজার দরের এ চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা, যা সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে বিক্রি হয়েছে ৩২০ টাকা। লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা, যা সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে ছিল ২২০ টাকা।
সপ্তাহের মাঝামাঝি এবং শেষে দাম বাড়তি-কমতির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মুরগি বিক্রেতা মিন্টু শেখ বলেন, এভাবে মুরগির দাম বাড়ছে-কমছে কেনো সে সম্পর্কে আমরা সঠিক কিছু বলতে পারি না। আরতদাররা ভালো বলতে পারবেন। তবে খুব শিগগিরই দাম কমে যাবে বলে মনে করেন মিন্টু।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে কিছু সবজির দাম কমেছে আবার কিছু সবজির দাম কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি সিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ টাকা, বেগুন (কালো লম্বা) ৮০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ টাকা, পাতা কফি (মাঝারি) ৫০ টাকা, কাঁচামরিচের কেজি ১৫০ টাকা। মাঝারি ফুলকপি প্রতি পিস ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা, উচ্ছে ১০০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০টাকা, বরবটি ৮০ টাকা। গাজর প্রতি কেজি ১২০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৩০ টাকা, প্রতিটি লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়।
এছাড়া মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপের কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা, লাল গোল আলু ৩০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ কেজি ৫৫ টাকা। রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। চায়না আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, হাইব্রিড শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা।
পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট ও বৃষ্টিকে সবজির দাম বৃদ্ধির কারণ বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। সবজি বিক্রেতা মাহফুজুর রহমান বলেন, কিছুদিন আগে বৃষ্টির কারণে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। আর তাছাড়া আজ গাড়ি বন্ধ হওয়ার কারণে কোনো সবজির গাড়িও আসেনি। তাই দাম বেড়েছে সবজির। তবে বাজারে যেসব সবজির আমদানি রয়েছে সেগুলোর দাম কিছুটা কমেছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। কাতল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি।
এদিকে বাজারে অপরিবর্তিত আছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজনপ্রতি দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: