- শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ট্রাইব্যুনালে বিএনপির অভিযোগ দাখিল
- স্পিনকে যেভাবে নতুন উচ্চতায় নিয়েছিল ওয়ার্ন-মুরালির ‘সর্বকালের সেরা’ দ্বৈরথ
- ডান কাঁধে প্রচণ্ড ব্যথা, বাসা বাঁধতে পারে যে রোগ
- আয়নাঘরে বন্ধুকে কীভাবে হত্যা করা হয়, জানালেন ফারুকী
- মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৩৭ অভিবাসী আটক
- সিইসির সঙ্গে জামায়াত নেতাদের বৈঠক
- বিশ্ব ইজতেমায় দ্বিতীয় পর্বে বয়ানে থাকছেন যারা
- ফোন চুরি হলে সঙ্গে সঙ্গে যা করবেন
- ৬ দফায় কত বাড়ল স্বর্ণের দাম
- জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজায় ফের যুদ্ধ শুরুর হুমকি নেতানিয়াহুর

বেড়েছে মুরগি ও সবজির দাম

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে সব ধরনের মুরগির। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে নানান প্রকার সবজিরও। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে রাজধানীর বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ টাকা। লেয়ার বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা এবং পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল২৮০ থেকে ২৯০ টাকা।
মুরগি ব্যবসায়ী মিন্টু হোসেন বলেন, বাজারে মুরগির আমদানি আগের থেকে অনেকটা কম। এখন সব জায়গায় অনুষ্ঠান হচ্ছে। তাই মুরগির চাহিদা অনেক। কিন্তু আমদানি কম। এ কারণেই দাম বাড়ছে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং শশা কেজিতে বেড়ে ৮০ থেকে ৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা মো. রাসেল বলেন, পাইকারি বাজার থেকে প্রতি পাল্লা শশা ৩৫০ টাকা করে কিনে আনতে হচ্ছে। প্রতি পাল্লায় ৫ কেজি শশা থাকে। তাহলে প্রতি কেজি শশার দাম পড়ছে ৭০ টাকা। তারপরেও এর মধ্যে কিছু শশা নষ্ট বের হয়।
তিনি বলেন, পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কেনা লাগছে বলে খুচরা দামও বেশি। পাইকারি বাজারের শশা বিক্রেতারা বলছেন এখন শশার উৎপাদন কমে গেছে। বাজারেও খুব বেশি শশা আমদানি হচ্ছে না। যা আমদানি হচ্ছে তাও আবার বেশি দামে কেনা লাগছে। তাই তারাও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে।
এছাড়া বাজারে প্রতি কেজি কচুরমুখী ৪০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা, লাউ আকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা। চাল কুমড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, লম্বা কালো বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৬০, ঢেড়স ৬০ টাকা।
এছাড়া লাল আলু ৩০ টাকা, সাদা আলু ২৫ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ১৪০ টাকা। লেবুর হালি ১৫ থেকে ২৫ টাকা, চিচিংগা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, উচ্ছে ৮০, করোলা ৫০, ঝিঙে ৫০ টাকা, কাচ কলা হালি ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, মূলা ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, পেঁয়াজ কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, রসুন ইন্ডিয়ান ১২০ দেশী ৮০ টাজা কেজি এবং ধনে পাতা একশো গ্রাম ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা। মৃগেল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা। পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা।
আগের মতো বাজারে ছোট-বড় সব ধরনের ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তবে দাম তুলনামূলক বেশি। বড় (এক কেজির ওপরে) ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০-১৩০০ টাকা। মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। আর ছোটগুলো বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে।


প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: