ইন্টারনেট
হোম / শিল্প-সাহিত্য / বিস্তারিত
ADS

শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলো বর্ষবরণ অনুষ্ঠান

14 April 2022, 7:17:11

দুই বছর পর কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই বাঙালি পালন করল প্রাণের উৎসব বৈশাখ। এবছর বর্ষবরণ অনুষ্ঠান নিয়ে মানুষের বেশ উচ্ছ্বাস থাকলেও রমজানের কারণে ২টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সে অনুযায়ী রাজধানীর বৈশাখী অনুষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে রাজধানীর রমনায় দেখা যায়, বেলা ২ টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই অনু্ষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে গেইট দিয়ে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ এবং র‌্যাবের হেল্প ডেস্কগুলোও গুটিয়ে ফেলা হয়েছে। অনুষ্ঠান করার জন্য আনা জিনিসপত্রও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

বর্ষবরণ পালনে সকাল থেকেই অনেকে এসেছে রমনা এলাকায়। অনুষ্ঠান শেষ হতেই মেলা প্রাঙ্গন থেকে বের হতে দেখা যায় অনেককে। কিছু সময়ের মধ্যেই যেন রমনা এলাকা খালি হয়ে যায়। আশপাশের রাস্তাগুলো খুলে দেওয়া হয়।

গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগরের পুলিশ কমিশনার(ডিএমপি) মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘এ বছর রোজার মধ্যে পহেলা বৈশাখ হচ্ছে। তাই দিনের বেলা কোনো খাবার দোকান খোলা থাকবে না। যারা দায়িত্ব পালন করবে তাদের অনেকেই রোজা রাখেন। তাই এবার বেলা ২টার মধ্যে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে।’

নির্দেশনা অনুযায়ী সীমিত পরিসরে নববর্ষ উযযাপনে আয়োজিত সব অনুষ্ঠান সময় মত শেষ হয়েছে।

বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে ধানমন্ডি থেকে রমনায় এসেছেন সোহেল আহমেদ। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন মেয়েকে নিয়ে তেমন কোথাও যাওয়া হয়নি। আজ বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে সুযোগ পেয়ে পরিবার নিয়ে এলাম। তবে এবার তেমন কোনো ভিড় নেই। লোক সমাগমও কম। এখানে এসে মেয়ে খুশি হয়েছে।

এর আগে ‘নব আনন্দে জাগো’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে রমনার বটমূলে রাগালাপ ও সংগীতে শুরু হয় ছায়ানটের বর্ষবরণের আয়োজন। সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাত্রকেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে থেকে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ‘নির্মল করো, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’ প্রতিপাদ্যে বের হওয়া শোভাযাত্রার গন্তব্য ছিল ঢাবি ভিসির বাসভবন। ভিসির বাসভবনের সামনে স্মৃতি চিরন্তন ঘুরে শোভাযাত্রাটি আবার টিএসসিতে ফিরে যায়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মেট্রোরেলের কাজ চলায় শাহবাগ থেকে টিএসসি পর্যন্ত সড়ক সঙ্কুচিত হওয়ার কারণে এবার শোভাযাত্রার গতিপথে পরিবর্তন আনা হয়।

অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময় ধরে বর্ষবরণের সংগীতানুষ্ঠান হয়ে আসছে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে গত দুই অনুষ্ঠান হয়নি।

ছায়ানটের আয়োজনে প্রথম রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখের সূর্যোদয়ের সময় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল ১৯৬৭ সালে। এরপর কেবল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বৈরী পরিবেশের কারণে অনুষ্ঠান হতে পারেনি। এছাড়া ২০০১ সালে রমনার গানের অনুষ্ঠানে জঙ্গিরা ভয়াবহ বোমা হামলা করলেও ছেদ পড়েনি অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায়। তবে সেই অনুষ্ঠানে বাধ সাধে করোনা। এখন সংক্রমণের তীব্রতা কমে আসায় ফের বটতলায় এই সংগীতানুষ্ঠান হচ্ছে।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: