কবি পাবলো নেরুদার জন্মদিন আজ
আজ কবি পাবলো নেরুদার জন্মদিন। তিনি চিলির পাররাল শহরে ১৯০৪ সালের ১২ জুলাই জন্ম নেন। তার প্রকৃত নাম নেফতালি রিকার্দো রেয়েস বাসোয়ালতো। নেরুদাকে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও প্রভাবশালী লেখক মনে করা হয়। তার সাহিত্যকর্মে ঘটেছে বিভিন্ন প্রকাশশৈলী ও ধারার সমাবেশ। তিনি রচনা করেছেন পরাবাস্তববাদী কবিতা, ঐতিহাসিক মহাকাব্য, এমনকি প্রকাশ্য রাজনৈতিক ইশতেহারও।
১৯৭১ সালে নেরুদাকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। কলম্বিয়ান ঔপন্যাসিক গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস একদা নেরুদাকে ‘বিংশ শতাব্দীর সব ভাষার শ্রেষ্ঠ কবি’ বলে বর্ণনা করেন। মাত্র ১০ বছর বয়সেই তিনি কবিতার প্রতি আকৃষ্ট হন। ১৯২৩ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে, প্রকাশক না পেয়ে নেরুদা নিজের সর্বস্ব বিক্রি করে বের করেন প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘টুইলাইট’। বইটি তাকে ব্যাপক প্রশংসা ও পরিচিতি এনে দেয়। পরের বছর এক প্রকাশক আগ্রহী হয়ে প্রকাশ করেন তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘টুয়েন্টি লাভ পোয়েম্স অ্যান্ড এ সং অব ডিসপেয়ার’। ওই বইটিও ব্যাপক খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা লাভ করে। এখন পর্যন্ত বইটি সারাবিশ্বে তার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল পঠিত কবিতাগ্রন্থ। পাবলো নেরুদা জীবৎকালেই কবি হিসেবে কিংবদন্তি ব্যক্তিত্বের মর্যাদা লাভ করেন।
নেরুদা রাজনৈতিক আদর্শে ছিলেন মার্কসবাদী। কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন। সিনেটর নির্বাচিত হন। একবার প্রেসিডেন্ট পদেও প্রার্থী হয়েছিলেন, যদিও জোট-রাজনীতির কবলে পড়ে তাকে শেষ পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল। তার রাজনৈতিক দর্শন তাকে সমাজতান্ত্রিক ও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা এনে দেয়।
১৯৭৩ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার তিনদিন পরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় পাবলো নেরুদার। কিন্তু পরবর্তীতে তার এই মৃত্যু নিয়ে শুরু হয় নানা বিতর্ক। দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে সন্দেহ আর অবিশ্বাসের মধ্যে একদল ফরেনসিক গবেষক দাবি করেছেন, প্রস্টেটের ক্যানসারে মৃত্যু হয়নি নেরুদার। পরিকল্পিত খুনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেন না তারা।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: