ইন্টারনেট
হোম / সারা বাংলা / বিস্তারিত
ADS

রংপুরে বাস ধর্মঘট শুরু, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

28 October 2022, 5:11:30

সড়ক পথে প্রশাসনিক হয়রানির প্রতিবাদ ও তিন চাকার যানবাহনসহ মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে ৩৬ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বাস না পেয়ে অনেকে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। জানা যায়, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কে যান চলাচল এবং রংপুর-কুড়িগ্রাম রুটে প্রশাসনিক হয়রানির প্রতিবাদে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর জেলার সব রুটের বাস-মিনিবাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়। ফলে রংপুরের সঙ্গে সারা দেশের পরিবহন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন স্থানে যাত্রীরা ভেঙে ভেঙে যাওয়ায় গুনতে হচ্ছে বেশি ভাড়া। অনেকেই আবার গন্তব্যে না যেতে পেরে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন।

এদিকে বাসচালক কফিল উদ্দিন বলেন, বিএনপি মহাসমাবেশ ডেকেছে, সরকারি দলও পাল্টা কর্মসূচি দিতে পারে। ফলে বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা করছে বাস মালিকরা। সে কারণে বাস বন্ধ রয়েছে। আমেনা বেগম নামে এক বৃদ্ধা গাইবান্ধায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাস টার্মিনালে এসেছেন। বাস না চলায় তিনিও বিপদে পড়েছেন। রহিমা বেগম বলেন, ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গাইবান্ধায় যাওয়ার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু বাস চলছে না। তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।

মালিক সমিতি দাবি করেছে, মহাসড়কে অটো, নছিমন-করিমন, ভটভটি বন্ধের দাবি তারা এই ধর্মঘট ডেকেছে। যদিও রংপুরে বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। জেলা মটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফতাবুজ্জামান লিপ্পন জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী মহাসড়কে অটো, নছিমন-করিমন, ভটভটি বন্ধের কথা বলা হলেও প্রশাসন তা বাস্তবায়ন না করা, প্রশাসন কর্তৃক নানা প্রকার হয়রানি বন্ধের দাবিতে আমাদের এই ধর্মঘটের ডাক। দাবি মানা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচিতে যাবো আমরা।

এদিকে ধর্মঘটের বিষয়টি চিন্তা করে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপির শত শত নেতাকর্মী রংপুরে এসেছেন। তবে তাদের অভিযোগ, বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীদের গণসমাবেশে আসতে বাধা দিতেই এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশে সরকার পক্ষে লোকজন একইভাবে সমাবেশে নেতাকর্মীদের বাধা দিয়েছেন।

এদিকে বিএনপির ২৯ অক্টোবর গণসমাবেশ ঘিরে মটর মালিক সমিতির এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দাবি করে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন দলটির নেতারা। এর আগে ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপির সমাবেশের দুদিন আগে থেকেই খুলনার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ করা হয় বাস ও লঞ্চ। সেসময়ও শ্রমিক নেতারা দাবি করেন, মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচলের প্রতিবাদে খুলনাসহ এর আশপাশের জেলায় বাস বন্ধ রাখা হয়েছে। তারও আগে ১৫ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে বাস বন্ধ করা হয়েছিল একইভাবে।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: