হরতালে রণক্ষেত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আরও দুইজন নিহত
নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে সফরের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করার সময় নিজেদের কর্মী নিহতের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
ধর্মভিত্তিক সংগঠনটির ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন হরতাল সমর্থকরা। এ সময় তারা বিভিন্ন সরকারি দপ্তরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুর করা হয় স্থানীয় প্রেসক্লাবে। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাণ্ডবের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে চট্টগ্রামগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
হরতাল চলাকালে শহরের পৈরতলা, পুলিশ লাইন্স এলাকা, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক, বিশ্বরোড এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আলামিন নামে একজনের নাম জানা গেছে।
হরতালকে কেন্দ্র করে বন্ধ রয়েছে দোকানপাটসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া আঞ্চলিক ও মহাসড়কে ছোট-বড় এবং দূরপাল্লার যান চলাচলসহ বন্ধ রয়েছে রেল যোগযোগ।
ঢাকা-সিলেট, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশের কমপক্ষে ৪০টি স্পটে টায়ার জ্বালিয়ে সড়কে ব্যারিকেড দেয় হরতাল সমর্থকরা। এছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটি ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে আশপাশের ড্রেন থেকে কংক্রিটের স্ল্যাব উঠিয়ে রেললাইনে রাখা হয়েছে, যেন ট্রেন চলাচল করতে না পারে। স্টেশনের কাছের রেলগেটের ব্যারিকেড বাঁকা করে ফেলা হয়েছে। রেললাইনের ক্ল্যাম খুলে ফেলা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ এবং হরতালের প্রতিবাদে দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: