- কানের লাল গালিচায় হেঁটে সুখবর দিলেন বাংলাদেশের প্রিয়তী
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক নীতিমালা, ২০২৪-এর খসড়া অনুমোদন
- ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি’র মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহতদের শেষকৃত্য মঙ্গলবার, ৫ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক
- লঘুচাপ ও বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা
- কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং শুরুর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- মিরপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ, ২ মামলায় আসামি ১৮০০
বরিশালে ভুল বোঝাবুঝির নিরসন হলো যেভাবে
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা ও সংঘর্ষ পরবর্তী ঘটনায় প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির নিরসন হয়েছে। রবিবার রাতে এ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনারের আহ্বানে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৯টা থেকে রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত ওই বৈঠক চলে। সেখানেই দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান আসে।
বৈঠক শেষে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর বলেন, বৈঠকে সাম্প্রতিক বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। পুরো বিষয়টি ইতিবাচক ছিল। আমি আশা করছি উদ্ভূত সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। আলোচনায় উভয়পক্ষের মামলা প্রত্যাহারের বিষয়েও সমঝোতা হয়েছে।
তবে বৈঠকের বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা জানান, বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল তাদেরকে চায়ের দাওয়াত দিয়েছিলেন। সেই দাওয়াতেই মূলত সমঝোতা বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে রাতের খাবার খেয়ে তারা ফিরেছেন।
বৈঠকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল, রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আকতারুজ্জামান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন এবং র্যাব-৮-এর অধিনায়ক ডিআইজি জামিল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর ছাড়াও রাজনীতিবিদদের পক্ষে ছিলেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, মহানগর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস এবং প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু।
উল্লেখ্য, বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবৈধ বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন উচ্ছেদ করতে অভিযান চালান বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাদের অভিযান বন্ধ করে সকালে অভিযান চালাতে বলেন। কিন্তু সেটি না মেনে ইউএনওর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন সিটি কপোরেশন কর্মী এবং আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে তারা ইউএনও’র বাসভবনে হামলা চালান। এ সময় ইউএনওর নিরাপত্তায় আনসার সদস্যরা গুলি চালালে বেশ কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে পুলিশের সঙ্গেও হামলাকারীদের সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হন।
এই ঘটনায় পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে বাসভবনে হামলার অভিযোগে সিটি করপোরেশনের কর্মচারী, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আসামি করে ইউএনও ও পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করে। সেই দুটি মামলাতেই বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়। একই ঘটনায় সিটি করপোরেশন ও আওয়ামী লীগ নেতারাও থানায় মামলা করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু থানা থেকে তাদের মামলা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়।
পরে বরিশালের অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মাসুম বিল্লাহর আদালতে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমান ও কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলামসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুটি মামলার আবেদন করে সিটি করপোরেশন। আদালত অভিযোগ দুটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: