বিএনপির পদযাত্রায় সংঘর্ষ-বাস ভাঙচুর: এবার ধানমন্ডি থানায় পুলিশের মামলা

রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় বিএনপির পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় নিউ মার্কেট থানার পর এবার রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় ৫২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। মামলায় বিএনপির ৫২ নেতা কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত হিসেবে আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।’

সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবিসহ ১০ থেকে ১৫ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আটকের পর গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। সংঘর্ষে কর্মকর্তাসহ বেশ কজন সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।

মঙ্গলবার রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় বিএনপির পদযাত্রা থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, লোডশেডিং, সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে মঙ্গলবার পূর্ব ঘোষিত পদযাত্রা ছিল বিএনপির। দুপুর ২টায় ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের সামনে থেকে তা শুরু হয়। পদযাত্রাটি সাত মসজিদ রোড, রাইফেল স্কয়ার, ঢাকা সিটি কলেজ, সায়েন্সল্যাব, বাটা সিগন্যাল ও কাঁটাবন মসজিদের সামনে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। বিকাল ৪টার কিছু আগে পদযাত্রা নিয়ে নেতাকর্মীরা সিটি কলেজের সামনে পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিআরটিসি বাসে আগুন দিয়ে বেশকিছু গাড়ি ভাঙচুর করেন। এছাড়া ধানমন্ডি ৩ নম্বর ক্রসিং রোডের পুলিশ বক্স ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এই সংঘর্ষের ঘটনায় নিউ মার্কেট থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ। থানা সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক মিলনসহ ৪৬ জনের নাম রয়েছে। তাছাড়া দলের ও অঙ্গসংগঠনের আরও ৫০০/৬০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।