ইন্টারনেট
হোম / রাজধানী / বিস্তারিত
ADS

বায়ু দূষণের ৮০ ভাগ কারণ জীবাশ্ম জ্বালানি: মেয়র তাপস

9 March 2023, 6:52:00

মানসম্মত নয় এ ধরনের জ্বালানি ব্যবহার বায়ু দূষণে সবচেয়ে বেশি দায়ী বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বলেন, ‘ধুলার জালাই সহ্য করা যায় না। কিন্তু লেড, ম্যাগনেসিয়ামসহ বিভিন্ন ধরনের যে বিষাক্ত পদার্থ আমরা প্রতিনিয়ত নিচ্ছি, সেটা কেউ খেয়াল করছে না। বাংলাদেশে যে জ্বালানি তেল আসে সেটা নিম্নমানের। বায়ু দূষণের ৮০ ভাগ কারণ হলো জীবাশ্ম জ্বালানি।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এনার্জি কর্তৃক ‘সাসটেইনেবল এনার্জি উইক-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত ‘সাসটেইনেবল এনার্জি পলিসি এন্ড আওয়ার লাইভলিহুড’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, ‘যে ডিজেল আমরা ব্যবহার করি, তা কতটা বিপজ্জনক; প্রতিদিন বায়ু দূষণের মাত্রায় সর্বোচ্চ ওপরে থাকার পরও আমাদের উপলব্ধি আসছে না। উপলব্ধিতে আসছে শুধু ধুলা। ধুলা-বালি আমাদেরকে বিরক্ত করছে। কিন্তু বায়ু দূষণের ৮০ ভাগ কারণ হলো জীবাশ্ম জ্বালানি।

আমরা যে তেলটা ব্যবহার করি সেটা অপরিশোধিত তেল। যেখানে লেড, ম্যাগনেসিয়াম, সালফারের মতো অনেক বিপদজ্জনক পদার্থ পাওয়া যায়। যার কারণে ঢাকা শহর ছোট শহর হওয়ার পরও আমরা এখানে বায়ু দূষণের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছি। মানসম্মত নয় এমন জীবাশ্ম জ্বালানি বেশি ব্যবহারের কারণে আজকে আমরা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ বায়ু দূষণগ্রস্থ শহরে পরিণত হয়েছি।’

জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী উদ্যোগ তুলে ধরে ঢাদসিক মেয়র বলেন, ‘জ্বালানি আমার সম্পদ, আমারই থাকবে। জাতির পিতা সেটা সর্বপ্রথম নির্ধারণ করেছিলেন। পাকিস্তান আমলে আমাদের বড় বড় গ্যাস ক্ষেত্রগুলো বহুজাতিক কোম্পানিকে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালে তিতাস গ্যাসসহ ৫টি বড় বড় গ্যাস ক্ষেত্র বহুজাতিক কোম্পানির কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলেন। সে সময় আমাদের অর্থ ছিল না কিন্তু তিনি ভবিষ্যৎ জ্বালানি নিরাপত্তা উপলব্ধি করেই সেগুলো কিনে নিয়েছিলেন। যে কারণে আজ পর্যন্ত আমরা গ্যাস ব্যবহার করতে পারছি।’ জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন উদ্যোগ উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘জ্বালানির মূল কার্যক্রমই হলো বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা। সৌর, পানি, বায়ু, পারমাণবিক, কয়লা; যে ধরনের জ্বালানিই হোক না কেন, এগুলোর সবই বৃহদার্থে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। সে বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাই, দেশকে উন্নত করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটাই করেছেন।’

তিনি সব ধরনের জ্বালানি ব্যবহার করে বাংলাদেশকে আজ বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন। বিগত ১৪ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ২৮০০ মেগাওয়াট থেকে তিনি ২৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করেছেন।

ইনস্টিটিউট অব এনার্জি’র পরিচালক ড. এম এস নাসিফ শামসের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াসিকা আয়েশা খান, ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের কার্যকরি সদস্য আদেলুর রহমান, ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক মঞ্জরুল ইসলাম ও বিইপিআরসির সদস্য রতন কুমার ঘোষ প্রমুখ।

সেমিনারে বক্তারা ২০০৮ সালে প্রণীত সাসটেইনেবল এনার্জি পলিসির আলোকে আগামীর জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

উল্লেখ, ঢাকার প্রায় ১৫০টি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয়েছে সাসটেইনেবল এনার্জি উইক-২০২৩। আজকের সমাপনী সেমিনারের মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী এ আয়োজনের সমাপ্তি হয়।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: