ইন্টারনেট
হোম / রাজধানী / বিস্তারিত
ADS

ঢাকায় জমে উঠছে ঈদের কেনাকাটা

9 April 2022, 11:40:44

রাজধানীতে জমে উঠতে শুরু করেছে ঈদের কেনাকাটা। শুক্রবার ছুটির দিনে শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। তবে করোনাভাইরাস পূর্ববর্তী সময়ের মতো এখনো সেভাবে জমেনি ঈদের বাজার।

বিক্রেতারা বলছেন, এখন যারা মার্কেটে আসছেন তাদের অধিকাংশই ভিড় এড়াতে আগাম কেনাকাটা করছেন। ক্রেতা টানতে নানা রকম আকর্ষণীয় অফার দিচ্ছে ব্র্যান্ডগুলো। নিম্ন আয়ের মানুষেরা কেনাকাটা করছেন ফুটপাত থেকে। এছাড়া নগরীর বেশকিছু বিপণিবিতানে সব ধরনের মানুষের জন্যই রয়েছে পণ্যের বিশাল সমারোহ। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক রয়েছে ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মহামারি করোনার জন্য গত দুই বছর সেভাবে বেচাবিক্রি করতে পারেননি তারা। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ক্রেতা আকর্ষণে সব ধরনের চেষ্টাই তারা করছেন। অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও চলছে পণ্যের প্রচারণা। শপিংমলগুলোতে বিশেষ আলোকসজ্জা করা হয়েছে। তবে এখনো প্রত্যাশিত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিকে এ অবস্থার জন্য দায়ী করছেন তারা। কিন্তু তারা হাল ছাড়তে রাজি নন। কয়েকদিনের মধ্যেই পুরোদমে বাজার জমবে বলে আশাবাদ বিক্রেতাদের। বিশেষ করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বেতন-ভাতা পরিশোধ শুরু করলেই মানুষ শপিংয়ে আসা শুরু করবে বলে মনে করছেন তারা।

জানতে চাইলে যমুনা ফিউচার পার্কের ইনফিনিটি মেগা মলের প্রডাক্ট ম্যানেজার মাসুদ কায়সার নাবিল যুগান্তরকে বলেন, করোনার ধাক্কার পরে এই ঈদে মার্কেট ফের জমবে এমন আশা করছি। কিন্তু এখনো সেভাবে বাজার জমে ওঠেনি। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেচাবিক্রি বেড়েছে। সেটা করোনা পূর্ববর্তী সময়ের বাজারের মতো হয়নি। তবে কয়েকদিনের মধ্যে ক্রেতা বাড়বে বলে আশা করা যায়।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে ঘুরে দেখা যায়, রমজানের শুরুতেই নতুন নতুন বাহারি ডিজাইনের পোশাক, জুতা, কসমেটিকসামগ্রী বিক্রির সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তারা। তবে রোজার শুরু, প্রচণ্ড গরম ও তীব্র যানজটের কারণে লোকসমাগম অনেকটা কম। ছুটির দিন শুক্রবারে বেড়েছে উপস্থিতি। কেউ পণ্য কিনছেন। কেউ আবার ঘুরে দেখে পছন্দ করে রাখছেন। গরম বিবেচনায় রেখে সুতি পোশাকে ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি দেখা গেছে। চাঁদরাত পর্যন্ত শপিংমলগুলোতে চলবে কেনাকাটার উৎসব।

রামপুরা থেকে যমুনা ফিউচার পার্কে আসা সাদিয়া জান্নাত বলেন, গত দুই ঈদ সেভাবে উদযাপন করতে পারিনি। সেজন্য এবারের ঈদকে পানসে করতে চাই না। সেজন্যই রজমানের শুরুতে শপিং করতে এসেছি। প্রথম দিকেই নিজের ও আত্মীয়স্বজনের জন্য শপিং শেষ করতে চাই। কারণ শেষদিকে গিয়ে অনেক ভিড় হয়।

ছেলেরা বেশি কিনছেন শার্ট, প্যান্ট, টিশার্ট ও পাঞ্জাবি। আর তরুণী ও নারীরা কিনছেন শাড়ি, থ্রিপিস ও ফ্রক। এছাড়া জুতার দোকানেও বিক্রি বেড়েছে অনেক।

রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় কথা হয় ‘বাটা’র ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার প্রশান্ত সাহার সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, করোনার কারণে দুই বছর ঈদে জুতা কেনাবেচা পূর্বের মতো হয়নি। কিন্তু এবার রমজানের এক মাস আগে থেকেই বিক্রি অনেক বেড়েছে। রমজান শুরুর পর ক্রমশ তা বাড়ছে। আশা করছি, এই ঈদে বেচাবিক্রি অনেক ভালো হবে।

এদিকে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কে ঈদ উপলক্ষ্যে রয়েছে নানা আয়োজন। শুক্রবার সারা দিনই ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। সন্ধ্যা নাগাদ লোকে-লোকারণ্য হয়ে পড়ে শপিংমল। কেনাকাটায় দরদাম করতে হয় না বলে উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্ত বিড়ম্বনাহীন কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করেন।

এদিন বেশিরভাগ ক্রেতা ভিড় করেন দেশি পোশাক হাউজের শোরুমগুলোতে। বিভিন্ন শোরুমে নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট সুবিধা রয়েছে। এছাড়া বিকাশ ও বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ডে রয়েছে ক্যাশ ব্যাক অফার।

যমুনা ফিউচার পার্কে আসা ক্রেতারা বলছেন, অনেক বড় পরিসরে মার্কেট হওয়ায় এখানে কেনাকাটায় তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। শোরুমগুলো বড় পরিসরে হওয়ায় নির্বিঘ্নে পণ্য দেখে কেনা যায়। ধাক্কাধাক্কি হুড়াহুড়ি করতে হয় না। একই ছাতার নিচে দেশি-বিদেশি সব নামি-দামি ব্র্যান্ডের শোরুম রয়েছে। আর বাইরে অনেক গরম, সেক্ষেত্রে মার্কেটেরে ঠাণ্ডা পরিবেশে কেনাকাটায় তাদের পছন্দের কেন্দ্রে রয়েছে যমুনা ফিউচার পার্ক।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: