ইন্টারনেট
হোম / রাজধানী / বিস্তারিত
ADS

ঢাবিতে হলের রুমে গিয়ে শিক্ষার্থী পেটাল ছাত্রলীগ

26 March 2022, 7:12:08

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় ৭১ হলের আখলাকুজ্জামান অনিক নামে এক শিক্ষার্থীকে রুমে গিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে হলের পদ্মা ব্লকের ২০১০ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীর নাম অনিক। তিনি থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষার্থী। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে হামলায় অংশ নেওয়া ছাত্রলীগ কর্মীর সংখ্যা ১০-১২ জন বলে উল্লেখ করলেও নাম-পরিচয় উল্লেখ করেছেন চারজনের। অভিযুক্তরা হলেন, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের মাসফিউর রহমান, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের সফিউল্লাহ সুমন (পিটার), ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাব্বির আল হাসান ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নাইমুর রশিদ নাঈম।

হামলায় অংশ নেওয়া ছাত্রলীগ কর্মীরা হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিবুর রহমান সজীবের অনুসারী। সজীব ছাত্রলীগের ঢাবি শাখা সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী।

হামলার ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অনিক বলেন, সকালে আমি ঘুমে ছিলাম। এমন সময় দরজায় হঠাৎ কয়েকজন নক করে। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে আকস্মিকভাবে ১০ থেকে ১২ জন রুমে ঢুকে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে। আমি হতভম্ব হয়ে যাই। এ সময় তারা স্ট্যাম্প দিয়ে আঘাত করে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং শরীরের অন্যান্য জায়গায় এলোপাতাড়ি আঘাত করে।

অনিক বলেন, ‘বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নিচ্ছি। হামলাকারীদের মধ্যে শুধু চারজনকে চিনতে পারি। আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় আমার স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় সেমিস্টারের অভিনয় কোর্সের পরীক্ষা ছিল।’

এ হামলার পেছনে কোনো কারণ ছিল কি না জানতে চাইলে অনিক বলেন, ‘আজ থেকে তিন দিন আগে হামলাকারীদেরকে নাকি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়েছিল মেয়ে নিয়ে। তাদের অভিযোগ, আমি তাদের সঙ্গে সেখানে দুর্ব্যবহার করেছি। অথচ সেদিন আমার পরীক্ষা ছিল। হামলার সময় তারা আমার ফোন কেড়ে নেয়।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির বলেন, ‘আমি ঘটনাটি জেনেছি। এ বিষয়ে একটি অভিযোগপত্র এসেছে। বিষয়টি দেখভাল করার জন্য দায়িত্বরত শিক্ষককে সেখানে পাঠিয়েছি। আমরা রবিবার সকালে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

এ বিষয়ে হল ছাত্রলীগের সভাপতি সজিবুর রহমান সজীবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, আগের ছোট একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে হল প্রশাসন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয়ে আমরা সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: