ইন্টারনেট
হোম / রাজধানী / বিস্তারিত
ADS

ডেঙ্গুর হটস্পট জুরাইন

13 September 2021, 10:34:59

প্রতিদিনই রাজধানীতে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩১৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রাজধানী জুড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী থাকলেও পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এর মধ্যে যাত্রাবাড়ী, দোলাইরপাড়, শনির আখড়া, জুরাইন ও মুরাদপুর ডেঙ্গুর হটস্পট হিসেবে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে জুরাইনের অবস্থা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এই এলাকায় গত আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত আট জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। এ ছাড়া প্রতিদিনই নতুন করে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে।

অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা হওয়ায় এখানকার বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে থাকে। বিশেষ করে সড়ক থেকে বাসাবাড়ি নিচু হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে সেখানেই জন্ম নিচ্ছে এডিস মশা। ফলে মশক নিধন পদ্ধতি এখানে তেমন কাজ করছে না বলে জানান স্থানীয়রা।

ওয়ার্ডের মশক নিধন কর্মীরা বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, কিন্তু এ এলাকা নিচু হওয়ায় অনেক জায়গায় পানি জমে থাকে। অনেক পরিত্যক্ত বাড়িতে পানি জমে রয়েছে, যাদের মালিকদেরও খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই এসব জায়গায় ওষুধ ছিটিয়েও লাভ হচ্ছে না।’ সার্বিক বিষয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর হোসেন মীরু বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনতে। ওষুধও ছিটাচ্ছি দুই বেলা। কিন্তু মানুষ সচেতন হচ্ছে না। বিশেষ করে নিচু এলাকা হওয়ায় ঘরবাড়িতে দীর্ঘদিন পানি জমে থাকে। সেখানে মশা জন্মালে তো আমাদের কিছু করার থাকে না। আমরা তাদের বারবার বলার পরেও শোনে না। জরিমানা করেও কাজ হচ্ছে না। এই এলাকায় এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আট জন মারা গেছে। পূর্ব জুরাইনের সবুজবাগ, বাগানবাড়ি, নবীনবাগ, কুসুমবাগ দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।’

পূর্ব জুরাইনের জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘এই এলাকায় ঘরে ঘরে ডেঙ্গু রোগী রয়েছে। সারা দেশ যখন করোনা নিয়ে আতঙ্কে আছে, তখন আমরা ডেঙ্গুর সঙ্গে যুদ্ধ করছি। এই এলাকায় করোনার থেকেও বড় আতঙ্ক ও মহামারি এখন ডেঙ্গু।’

দক্ষিণ সিটির ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত মুরাদপুর এলাকায়ও ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেক মানুষ। এলাকার বাসিন্দা হারুন মিয়া জানান, মাঝে মাঝে ওষুধ দিলেও মশা উলটো ড্রেন থেকে বাসায় চলে আসে। মশা একটিও মরে না।

এ বিষয়ে কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কাবিরুল বাশার বলেন, জুরাইনের যে বাড়িগুলো আছে, সেগুলোর নিচতলা রাস্তার থেকেও প্রায় এক কোমর নিচে। বর্ষা মৌসুম হওয়ায় এসব বাসার নিচতলায় পানি জমে গেছে এবং এই জায়গাগুলোতেই বেশি এডিস মশা হচ্ছে। এটাই হচ্ছে জুরাইনের মূল সমস্যা।

জুরাইনবাসী হয়তো বুঝতেই পারছে না এসব কারণে তাদের ঘরেই এডিস মশা জন্ম নিয়ে বসে আছে।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: