শ্রীলংকায় সপ্তাহে তিন দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা

দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।দেশটিতে খাবারের দামের সাথে প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাফিয়ে বাড়ছে।ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে হাহাকার দেখা যাচ্ছে।বর্তমানে দেশটির অর্থনৈতিক সংকট প্রভাব ফেলেছে রাজনীতিতেও।দেখা দিয়েছে চরম বিশৃঙ্খলা। ফলে শ্রীলংকায় অর্থনৈতিক সঙ্কটের পটভূমিতে সে দেশের মন্ত্রিসভা সরকারি কর্মচারীদের জন্য তিন দিনের সাপ্তাহিক ছুটির এক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও চরম আকার ধারণ করেছে শ্রীলঙ্কায়। তাই অর্থনৈতিক সঙ্কটের পটভূমিতে আগামী তিন মাস এই ছুটির ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে। সরকারের একজন সিনিয়র মন্ত্রী দিশে গুনাবর্ধন জানিয়েছেন, শনি এবং রবিবার ছাড়াও সরকারি কর্মচারীরা শুক্রবার অতিরিক্ত ছুটি ভোগ করবেন। এই একদিনের জন্য তাদের বেতন দেয়া হবে। তবে স্বাস্থ্য, জ্বালানি, শিক্ষা এবং প্রতিরক্ষাসহ জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত কর্মচারীরা এই ছুটি পাবেন না।

মূলত বৈদেশিক মুদ্রার তীব্র ঘাটতির কারণে রাজাপাকসের সরকার জ্বালানিসহ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানিতে পুরোপুরি ব্যর্থ।বর্তমানে শ্রীলংকার বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার নিঃশেষ হয়ে গেছে এবং জ্বালানি আমদানি করতে গিয়ে দেশটি এখন হিমশিম খাচ্ছে।একারণে শ্রীলংকার গণ-পরিবহন খাতও বিপর্যস্ত হয়েছে। শ্রীলংকায় সরকারির কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। সরকার চায়, এই বাড়তি ছুটির দিনে সরকারি কর্মচারীরা তাদের বাড়ির পেছনে বা অন্যত্র পতিত জমি ব্যবহার করে নানা রকম ফসল ফলাবেন যা দেশে খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলায় সহায়ক হবে। বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্কটের জেরে সরকার ইতোমধ্যেই দেশে খাদ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে।শ্রীলংকায় সম্ভাব্য মানবিক সঙ্কটের বিষয়ে জাতিসংঘ গত সপ্তাহে এক হুঁশিয়ারি জারি করেছে। বর্তমান সঙ্কট সামাল দেয়ার লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে জরুরি ঋণ চেয়ে আবেদন করেছে।