- কাশিমপুর কারাগারে সাংবাদিক শামসুজ্জামান
- শামীমের লড়াকু ফিফটিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১২৪ রান
- টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, রিশাদের অভিষেক
- পর্ন তারকাকে অর্থপ্রদান মামলায় অভিযুক্ত ট্রাম্প
- যাত্রার ১০ দিন আগের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু শনিবার
- উত্তরা থেকে আগারগাঁও মেট্রোরেলের সব স্টেশন চালু
- জুটির সংকটে মাহফুজ-বুবলীতে আশার আলো
- এবার মামুনুর রশীদ ইস্যুতে মুখ খুললেন শাহনাজ খুশি
- ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা, কমেছে ডিমের দাম
- পালিয়ে বিয়ের পর কিশোরীকে ভবনের ছাদ থেকে নিক্ষেপ

৮০ শতাংশ জাল ভোট দিয়েছে বিজেপি: মমতা

নন্দীগ্রামের বয়ালের বুথে বিজেপি ৮০ শতাংশ জাল ভোট দিয়েছে বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। এ নিয়ে তিনি রাজ্যপাল ধনখড়ের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি আদালতে যাওয়ারও হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রামে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মমতা বন্দোপাধ্যায় ও বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, নন্দীগ্রামের বয়ালে সকাল থেকেই জাল ভোটের অভিযোগ উঠে। এই খবরে দুপুরে সেখানে হুইল চেয়ারে চেপে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই বুথের বাইরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
তৃণমূলের দাবি, বিজেপির লোকজন বুথে এজেন্টদের বসতে দেয়নি; তাদেরকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম আনন্দাবাজার পত্রিকা জানায়, মমতাকে দেখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এতে উত্তেজিত হয়ে যান তৃণমূল সমর্থকরাও। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরস্পরকে লক্ষ্য করে শুরু হয় এলোপাথাড়ি ইটবৃষ্টিও। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসে রাজ্য পুলিশ এবং র্যাফ। দুই শিবিরকে আলাদা করে দেয় তারা। কিন্তু বুথের বাইরের পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায়, বুথের ভিতরই আটকে পড়েন মমতা।
বিকল্প রাস্তায় মমতাকে বের করে আনতে ব্যর্থ হয় প্রশাসন। পরে বাধ্য হয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মানবশৃঙ্খল গড়ে বিক্ষোভকারীদের আটকানোর চেষ্টা করা হয়।
ওই সময় বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী জানান, খেলা যা হওয়ার হয়ে গেছে। ওই বুথে ৭০ শতাংশ ভোটই হয়ে গেছে। এখন গিয়ে আর কিছু করার নেই মমতার। এর পরেই বুথে বসেই সংবাদমাধ্যমে মমতা অভিযোগ করেন, বয়ালের ওই বুথে ৮০ শতাংশ ভোট হয়ে গেছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উসকানিতে বহিরাগতদের এনে অশান্তির চেষ্টা চলছে। মমতা বলেন, ‘বিহার ও উত্তরপ্রদেশের গুন্ডারা এসে ঝামেলা পাকাচ্ছে। যারা ঝামেলা করছে, একজনও বাংলা জানে না। সব হিন্দি বলছে।’
মমতা বলেন, ‘আদালতে যাব আমরা। কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। ৬৩টা অভিযোগ পেয়েছি।’
সেখানে বসেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ফোন করে পরিস্থিতি জানান তিনি। কিন্তু মমতার অভিযোগ উড়িয়ে দেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তিনি বলেন, ‘অবাঞ্ছিত কেউ যাতে বুথে না ঢোকেন, তার জন্যই কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেবেন। তাতে অসুবিধা কোথায়! হেরে যাবেন বুঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন মমতা। নির্বাচন কমিশনকে ভরসা করা উচিত। সুষ্ঠুভাবে ভোট করানোই ওদের দায়িত্ব। আর ৮০ শতাশ জাল ভোট চাইলে ওর দলও করতে পারবে না। নিজেরা জাল ভোট করতে পারছেন না বলেই এ সব বলছেন।’
ওই বুথে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকে মমতা। পরে দুপুর সোয়া ৩টার দিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তায় সেখান থেকে বের হন মমতা।


প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: