লতা বাইঙন দিয়ে গজার মাছের শুঁটকি রান্নার মজাদার রেসিপি
আমি শুঁটকি পাগল মানুষ। শুঁটকিরর গন্ধ পেলে আর আমারে আটকায় কে? তবে সব শুঁটকির মাঝে গজার মাছের শুঁটকি একটু বেশিই প্রিয়। যদিও দাম একটু বেশি। দামী জিনিসতো একটু বেশি প্রিয় হবেই। গজারের শুঁটকি কয়েক তরিকায় খাওয়া যায় সময়ে এবং সুযোগ বুঝে আপলোড দেব। আজ দেখে নিন বেগুন দিয়ে কিভাবে রান্না করা হয়।
গজারের শুঁটকি রাঁধতে যা লাগবেঃ-
শুঁটকি ১০০গ্রামের মতো।
বাইঙন (বেগুন) ৩টি।
পেঁয়াজ ২-৩টি, পেঁয়াজের আকারের উপর নির্ভর করবে।
তেল আধা কাপের চেয়ে সামান্য কম।
রসুন বাটা আধা টেবিল চামচ অথবা আস্তো ৬-৭টি রসুনের কড়া।
হলুদ গুড়া ১ টেবিল চামচের চেয়ে কিছুটা কম।
ধনিয়া গুড়া আধা টেবিল চামচ।
মরিচের গুড়া আধা টেবিল চামচের চেয়ে কিছুটা বেশি
লবন আধা টেবিল চামচের চেয়ে কিছুটা বেশি দিয়েছি।
কাঁচামরিচ ৭-৮টি।
ধনেপাতা একমুঠ।
কিভাবে রান্না করবেনঃ
প্রথমে শুঁটকি একটি পাত্রে ভিজিয়ে রাখুন অন্তত আধাঘণ্টা। অন্য পাত্রে বেগুন কেটেও ভিজিয়ে রাখুন যাতে কালো না হয়।
এবার চুলায় পাতিলে তেল গরম করে পেঁয়াজ, রসুন লবন দিয়ে নেড়ে দুই-তিন মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন মিডিয়ম আগুনে।
দুই-তিন মিনিট পর কাপ দিয়ে এক কাপ পানিয়ে দিয়ে আবার ঢেকে রাখুন অন্তত ১৫মিনিটের জন্য এবং মাঝেমাঝে নেড়ে পেয়াজ গলিয়ে ফেলুন।
পেঁয়াজ গলে গেলে হলদি,ধনিয়া ও মরিচের গুড়া দিয়ে ভালভাবে নেড়ে আবার ঢেকে রাখুন ৮-১০মিনিটের জন্য একদম কম আগুনে।
৮-১০মিনিট পর শুঁটকি ছেড়ে দিয়ে কষাতে থাকুন অন্তত ১৫মিনিট। যদি দেখেন একদম শুকনো শুকনো লাগছে তাহলে আধা কাপের মতো পানি দিতে পারেন।
১৫মিনিট কষানো হয়ে গেলে বেগুন ছেড়ে দিয়ে কষাতে থাকুন যতক্ষণ না বেগুন নরম হয়ে আসছে। তবে বাইঙন ছেড়ে দেয়ার পর একদম পানি দেয়া যাবেনা। বাইঙন থেকে পানি বের হবে, অনেকটা ভাজির মতো শুষ্ক হবে।
বেগুন নরম হয়ে আসলে লম্বা করে কাটা কাঁচামরিচ ছেড়ে দিয়ে নেড়ে আগুন বন্ধ করে দিন। ব্যাস হয়ে গেল লতা বাইঙন দিয়ে গজার মাছের শুঁটকি রান্না। এবার ধনেপাতা দিয়ে সাজিয়ে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: