For Advertisement
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।
প্রথমে সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। কোনো প্রার্থী পছন্দের কোনো প্রতীক চাইলে তাকে সেটি দেওয়া হয়। তবে কোনো প্রতীক একাধিক প্রার্থী চাইলে লটারি করা হয়। লটারিতে যে প্রার্থীর নাম ওঠে, সেই প্রার্থী পছন্দের প্রতীক পান। প্রতীক বরাদ্দের দিনে প্রার্থীরা তাদের সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আসেন। প্রতীক পেয়ে আবার তারা স্লোগান দিতে দিতে ফিরে যান।
সবশেষে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় মেয়র প্রার্থীদের। প্রথমে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’ বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরপর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলমকে ‘হাতপাখা’, জাকের পার্টির প্রার্থী একেএম আনোয়ার হোসেনকে ‘গোলাপ ফুল’ এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপনকে ‘লাঙল’ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতীক বরাদ্দের পর তাদের সমর্থকরা মিছিল করেন। এছাড়া সারা শহরে পোস্টার ও ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো শুরু হয়।
প্রতীক পেয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলম বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে বলব। নির্বাচন কমিশন আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আমরাও আশাবাদী কিন্তু ইভিএমের ব্যাপারে আমাদের আস্থাও আছে, শঙ্কাও আছে। শঙ্কা হলো- এক জায়গায় ভোট দিলে আরেক জায়গায় চলে যায়।’
জাকের পার্টির প্রার্থী একেএম আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইভিএমে ভোট হবে, কিন্তু এখনো ভোটারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে না। কিভাবে এতে ভোট দেওয়া হবে, সেটা আমাকেও প্রার্থী হিসেবে জানানো হয়নি। এটা নিয়েই আমার শঙ্কা যে, সবাই ঠিকঠাক ভোট দিতে পারবে না।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ ভালো। আমার মনে হয় ভালো থাকবে। ভালো থাকলেই সাধারণ মানুষ ভোট দিতে আসবে। নির্বাচন কেমন হবে, সেটা এখনো বলতে পারছি না। এখনো পর্যন্ত আমার কোনো অভিযোগ নেই। অনেকেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। আমরা সেটা বলতেও চাই না। আমরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করব না।’
আওয়ামী লীগের প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আজ প্রতীক পেলাম। এখন আমাদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হবে।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রার্থীদের আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারাও দেখছেন। সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা কাজ করছি।’
আগামী ২১ জুন রাসিক নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এবার মেয়র পদে চারজন ছাড়াও ১০টি সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য ৪৬ জন এবং ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের জন্য ১১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সব কেন্দ্রেই ভোট গ্রহণ করা হবে ইভিএমে।
Latest
For Advertisement
- প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
-
- গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
-
- হাসিনা রহমান শিপন,
- রাশিকুর রহমান রিফাত
Developed by WebsXplore