For Advertisement
বাংলাদেশের মিঠাই এখন আমিরাতে
মিষ্টি বা রসগোল্লা, বাংলাদেশের সামাজিক আচার আচরণে, বা নিত্যদিনের প্রয়োজনে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি উপকরণ। যা না হলে অতিথি আপ্যায়নে আমাদের অপূর্ণতা থেকে যায়। কিন্তু-এ মিষ্টি এখন দেশ ছাড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করছে বিদেশিদের কাছে। দুধের মালায়ে তৈরি বাংলদেশি মিষ্টি নানান স্বাদে তৃপ্তিতে পূর্ণতা দিচ্ছে দেশি-বিদেশি সবাইকে।
দেশ থেকে যখন কোন প্রতিবেশী বিদেশে গেলে তখন নিকট প্রবাসীদের আবেদন থাকে দেশের নামকরা মিষ্টি বিতান থেকে যেন এক কেজি মিষ্টি নিয়ে আসে। বছরে বা ছয় মাসে হোক দেশীয় মিঠাইয়ের স্বাধ যেন একবার মুখে নিতে পারে। এ সব প্রবাসীদের কাছে দেশীয় মিঠায়ের স্বাধ যেন মা ও মাটির কথা মনে করিয়ে দেয়।
কিন্তু প্রবাসীদের সেই আবেদন এখন আর নেই। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যসহ সংযুক্ত আরব আমিরাতে একাধিক নামকরা মিষ্টি বিতান বা প্রতিষ্ঠান প্রবাসী গ্রাহকদের স্বাধ পূরনে কারখানা এবং সেলস সেন্টার খুলেছে। প্রতিটি সেলস সেন্টারে দেশিয় মিষ্টির জন্য প্রতিদিন ভিড় জমে থাকে।
এক একটি প্রতিষ্ঠানের এক একেক রকম মিষ্টির নাম বাংলাদেশিদের ছাড়িয়ে বিদেশিদের কাছে এখন ঠোঁটস্থ। যেমন ক্ষীর মোহন, রোস মঞ্জুরি,ছানার টোস্ট, ওয়াইট চমচম, আনন্দভোগ, মিষ্টি দই, রসমালাই, এস্পনস রসগোল্লা, মিষ্টি জাম, আঙ্গুরী জাম, গ্রিন মিঠায়, সন্দেশসহ নানা জাতের মিষ্টি। এসব মিষ্টান্ন কারখানাগুলোতে শুধুমাত্র মিষ্টি তৈরি হচ্ছে তা না, দেশীয় স্বাদের উন্নত মানের সিঙ্গারা সমুচাসহ স্পাইছি জাতীয় ফুড আইটেম তৈরি করে সরবরাহ করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে।
বাংলাদেশের যেসব নামকরা প্রতিষ্ঠান আমিরাতে মিষ্টি বানানোর কারখানা স্থাপন করেছেন তার মধ্যে ওয়েল ফুড, বনফুল, ফুলকলি, মধুবন, আলাউদ্দিন সুইট, প্রিমিয়ার সুইট উল্লেখযোগ্য। যেখানে প্রচুর বাংলাদেশীর কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি দেশীয় মিষ্টির স্বাদ ছড়িয়ে পরেছে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান মিষ্টির স্বাধ ও কোয়ালিটি নিয়ে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হরেক রকম বাহারি স্বাদের মিষ্টি এখন প্রবাসী বাংলাদেশিদের ছাড়িয়ে বিদেশিদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
Latest
For Advertisement
- প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
-
- গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
-
- হাসিনা রহমান শিপন,
- রাশিকুর রহমান রিফাত
Developed by WebsXplore