Friday 17 May, 2024

For Advertisement

পুষ্টিগুণে ঠাসা মাছের ডিম! তবে কারও জন্য আবার বিষ

24 February, 2024 6:22:16

মাছের চেয়ে এর ডিম খেতে অনেকেই ভালোবাসেন। তাই তারা মাছ কেনার সময় দোকানির কাছ থেকে তাজা ডিম চেয়ে নিতে ভোলেন না। তারপর বাড়িতে ফিরে ছাকা তেলে মাছের ডিম ভেজে আয়েস করে গলাধঃকরণ করেন। এই কাজটা সেরে ফেলার পরই তাদের মনে দোলা দেয় খুশির হাওয়া।

মুশকিল হল, সাধারণ জনগণের এহেন রসনাতৃপ্তিকে ভালো চোখে দেখেন না অনেক সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ। তাদের মতে, নিয়মিত মাছের ডিম খাওয়া একবারেই উচিত নয়। এই ভুলটা করলে আদতে হার্টের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাই বাড়ে। সত্যি কি তাই?

এ ব্যাপারে পুষ্টিবিদরা বলছেন,​ মাছের তেলে রয়েছে প্রাকৃতিক ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাণ্ডার। এই উপাদান হার্ট-ব্রেনসহ দেহের একাধিক অঙ্গের হাল ফেরানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয়, মাছের ডিম হলো ভিটামিন বি১২, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কোলিনের মতো উপকারী উপাদানের আঁতুরঘর। তাই মাঝে মধ্যে মাছের ডিম খেলে যে আদতে শরীরের উপকারই হবে, তা তো বলাই বাহুল্য!

তবে যাদের জন্য ক্ষতিকর

মাছের ডিমে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে এ কথাও জেনে রাখা দরকার যে, এক টেবিল চামচ মাছের ডিম থেকে প্রায় ২৪০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম পাওয়া যায়। এমনকি এতে বেশ কিছুটা পরিমাণে ফ্যাটও উপস্থিত রয়েছে। এসব উপাদান হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

তাই হার্টকে সুস্থ রাখতে চাইলে নিয়মিত মাছের ডিম খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

​হার্টের অসুখ থাকলে চলবে না​

যারা হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেলিয়র, অ্যারিদমিয়া বা অন্য কোনো জটিল হৃদরোগের ফাঁদে পড়ে কষ্ট পাচ্ছেন, তাদের জন্য মাছের ডিম বিষের সমান। তার পরিবর্তে মুরগি বা হাঁসের ডিমের সাদা অংশ অনায়াসে খেতে পারেন। এই কাজটা করলেই প্রাণঘাতী বিপদের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা কমবে।

পিউরিন রিচ ফুড

মাছের ডিমে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে পিউরিন, যা শরীরে গিয়ে ইউরিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। দেহে ইউরিক অ্যাসিড লেভেল বাড়লে যে গাঁটে গাঁটে ব্যথা এবং কিডনি স্টোনের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে, তা তো বলাই বাহুল্য। তাই হাইপারইউরেসেমিয়া বা গাউট আর্থ্রাইটিসে ভুক্তভোগীরা যত দ্রুত সম্ভব মাছের ডিম খাওয়া বন্ধ করুন।

মাছের ডিম বিষ নয়​

যে কোনো সুস্থ-সবল মানুষ অল্প তেলে আলতো করে ভাজা মাছের ডিম মাসে এক-দুইবার খেতেই পারেন। এই নিয়মটা মেনে চললে খুব একটা সমস্যা হবে না। তবে ভুলেও এই হিসাবের বাইরে মাছের ডিম খাবেন না। তাতে আবার একাধিক জটিল রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে।

Latest

For Advertisement

সম্পাদক ও প্রকাশক:- এ এফ এম রিজাউর রহমান (রুমেল), এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট  
  • প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
সহযোগী-সম্পাদক:
    • গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
সহ -সম্পাদক:
    • হাসিনা রহমান শিপন,
নিউজ রুম ইনচার্জ :
    রাশিকুর রহমান রিফাত
© সকল স্বত্ব প্রতিচ্ছবি ডটকম ২০১৫ - ২০২২ অফিস: ৭২/২ উত্তর মুগদাপাড়া, ঢাকা ই-মেইল: dailyprotichhobi@gmail.com | মোবাইল: ০১৮১৮০৯৩১৩৭ ফোন:+৮৮০২৭২৭৭১৪৭

Developed by WebsXplore