Saturday 4 May, 2024

For Advertisement

ঢাবি ছাত্রীর মামলা: নুরের পর মামুনকেও অব্যাহতি

13 September, 2022 11:06:00

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর করা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের পর এবার ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকেও অব্যাহতি দিয়েছে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে মামুনকে মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন। মামুন এ মামলায় জামিনে ছিলেন।

ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা এবং ফেক আইডি থেকে বিভিন্ন গ্রুপে বাদীর মোবাইল নম্বর ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনে ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও হাসান আল মামুনসহ ছয়জনকে আসামি করে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন ওই ছাত্রী।

আদালত সূত্র জানায়, সোমবার মামলাটির চার্জ শুনানির দিন ধার্য ছিল। জামিনে থাকা মামুন আদালতে হাজির হন। তার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রার্থনা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মামুনকে অব্যাহতির আদেশ দেন আদালত।

গত বছরের ৮ জুন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। চার্জশিটে মামলার ৬ আসামির মধ্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। আর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হাসান সোহাগ, নাজমুল হুদা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল বাকীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করে পুলিশ।

এরপর গত বছর ৫ অক্টোবর নুরসহ ওই পাঁচজনকে অব্যাহতি দেয় আদালত। আর হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওই ছাত্রীর মামলায় অপহরণের পর পারস্পরিক সহযোগিতায় ধর্ষণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয়প্রতিপন্ন করার অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের সঙ্গে বাদীর পরিচয় হয় এবং তার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে আসামি মামুন বাদীকে শারীরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেন। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে বাদীকে মামুন তার লালবাগের বাসায় যেতে বলেন। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদীকে ধর্ষণ করা হয়।

এ ঘটনায় একই বছরের ১২ জানুয়ারি বাদী অসুস্থ অবস্থায় আসামি নাজমুল হাসান সোহাগের মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপরই আত্মগোপনে চলে যান আসামি হাসান আল মামুন।

একপর্যায়ে মামুনের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার কথা বলে গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে বাদীকে কোতোয়ালি থানাধীন ৫৬৩/৫৬৬ মিউনিসিপাল হকার্স মার্কেট এলাকায় সদরঘাট হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে নিয়ে যান আসামি সোহাগ। সেখানে বাদীকে সকালের নাস্তা করিয়ে কৌশলে লঞ্চযোগে চাঁদপুর নিয়ে যাওয়া হয়। চাঁদপুর পৌঁছে মামুনকে দেখতে না পেয়ে বাদীর মনে সন্দেহ জাগে। তখন দ্রুত ঢাকায় ফিরতে সোহাগকে তাড়া দেন বাদী। ওইদিনই বিকালে সোহাগ বাদীকে নিয়ে লঞ্চের কেবিনে অবস্থান নেন এবং তাকে ধর্ষণ করেন। এমনকি বাদী কান্নাকাটি করলে তাকে ‘নষ্ট মেয়ে’ বলেও ভয়ভীতি দেখান এবং কান্না করে লাভ হবে না বলে জানান সোহাগ।

এরপর একই বছরের ২৯ মে আসামি সোহাগ বাদীকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আরোহী সীমা (Arohi sima) ও বৈশাখী দাস (Baishaki Das) নামে দুটি ফেক আইডি খুলে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে বাদীর মোবাইল নম্বর ছড়িয়ে দেন। এর প্রায় তিন সপ্তাহ পর ২০ জুন বাদী এ বিষয়টি বিবাদী ভিপি নুরকে মৌখিকভাবে জানান। বিস্তারিত শোনার পর ভিপি নুর বাদীকে সুব্যবস্থার আশ্বাস দেন।

ওই বছরের ২৪ জুন আসামি নুর বাদীকে নীলক্ষেত এলাকায় দেখা করতে বলেন এবং বাদী সেখানে উপস্থিত হলে তাকে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। এমনকি বাড়াবাড়ি করলে নিজের অনুসারীদের দিয়ে বাদীর নামে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়া এবং বাদীকে পতিতা বলে প্রচার করা হবে বলে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

For Advertisement

সম্পাদক ও প্রকাশক:- এ এফ এম রিজাউর রহমান (রুমেল), এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট  
  • প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
সহযোগী-সম্পাদক:
    • গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
সহ -সম্পাদক:
    • হাসিনা রহমান শিপন,
নিউজ রুম ইনচার্জ :
    রাশিকুর রহমান রিফাত
© সকল স্বত্ব প্রতিচ্ছবি ডটকম ২০১৫ - ২০২২ অফিস: ৭২/২ উত্তর মুগদাপাড়া, ঢাকা ই-মেইল: dailyprotichhobi@gmail.com | মোবাইল: ০১৮১৮০৯৩১৩৭ ফোন:+৮৮০২৭২৭৭১৪৭

Developed by WebsXplore