Sunday 19 May, 2024

For Advertisement

কানে ময়লা জমে কেন, বের করার উপায় কী?

1 September, 2023 5:57:55

কানে জমে থাকা ময়লাগুলো কিন্তু আসলে মোমজাতীয় এক পদার্থ। যা কানের সুরক্ষা প্রদান করে। অথচ এগুলোকে কানের ময়লা ভেবে আমরা পরিষ্কারের জন্য কতকিছুই না করি। কেউ কটনবাড ব্যবহার করেন, কেউ আবার বিশেষজ্ঞের কাছে দৌড়ান।

এ কারণে কান বেশি খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে সেগুলো বের না করায় ভালো। কারণ সেগুলো স্বাভাবিকভাবেই কান থেকে বেরিয়ে যায় বিভিন্ন সময়ে। তবে কয়েকটি কারণে সেগুলো বের হতে পারে না, ফলে কানের মধ্যে বেড়ে যায় ওয়াক্সের পরিমাণ।

ফলে কানে অস্বস্তি, শোঁ শোঁ শব্দ, ব্যথা, কানে কম শোনা বা বিরক্তিকর কারণ হতে পারে। ভুলবশত যারা কটনবাড দিয়ে আপনার কান পরিষ্কার করেন, তারা কিন্তু আরও খারাপ অবস্থার সৃষ্টি করেন।

আসলে কানের মোমের গঠনকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে কটনবাড। বিশেষজ্ঞের মতে, কানের মোমগুলো জীবাণু থেকে রক্ষা করতে ও কান পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

বুপা হেলথ ক্লিনিকের একজন জিপি ডা. সামান্থা ওয়াইল্ডের মতে, কানের ময়লা বা খোল আপনাআপনিই কান থেকে বেরিয়ে আসে।

তবে যদি কোনো কারণে সেগুলো কান থেকে না বের হতে পারে, তাহলে কানে অবরুদ্ধভাব, কানে ব্যথা, শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া, টিনিটাস ও মাথা ঘোরার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

বিশেষজ্ঞের মতে, এমন অনেক জিনিস আছে যা কানের স্বাভাবিক মোম নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি করে। যেমন- ইয়ারফোন, শ্রবণযন্ত্র, ইয়ারবাডের ব্যবহার ইত্যাদি। জেনে নিন কীভাবে-

কটনবাড
কটনবাড দিয়ে কান পরিষ্কারের ক্ষেত্রে মোমগুলো ধাক্কা লেগে আরও ভেতরে চলে যায়। হার্লে স্ট্রিট ইএনটি ডাক্তারদের মতে, এমনকি কানের পর্দাও ফেটে যেতে পারে কটনবাড ব্যবহারের অভ্যাসে।

নিয়মিত কটনবাড ব্যবহারে মোমগুলো সব একত্র হয়ে শক্ত হয়ে যায়, ফলে শ্রবণশক্তি কমে যায়। এমনকি অত্যধিক শক্তি প্রয়োগের ফলে রক্তপাত ও ক্ষতের সৃষ্টি হয় কানে।

সাতার
সাঁতার কাটার কারণে ‘ওটিটিস এক্সটার্না’ নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটতে পারে কানে। ফলে প্রদাহ বা জ্বালার সৃষ্টি হয়। এই ব্যাকটেরিয়া কানের পর্দা পর্যন্ত পৌঁছে যায়।

ফলে সাঁতারুদের কানে ইয়ারওয়াক্স তৈরি হতে পারে। এর চিকিৎসায় ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে ও ব্যথা কমাতে কানের ড্রপের প্রয়োজন হয়।

ইয়ারফোন
বর্তমানে ইয়ারফোন ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। হোক সেটি তারযুক্ত কিংবা ব্লুটুথ। অত্যধিক ব্যবহৃত এই প্রয়োজনীয় গ্যাজেট কিন্তু কানের জন্য খুবই ক্ষতিকর, এমনটিই মত ডা. ওয়াইল্ডের।

তার মতে, দীর্ঘসময় ইয়ারফোন ব্যবহারের কারণে স্বাভাবিক নিয়মে কান থেকে মোম নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায় ও ময়লা আবার কানে ফিরে যায়। ফলে কানে মোম আটকে যায় ও সংক্রমণ ঘটতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ার বন্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের মতে, ইয়ারফোনগুলো কানের মোমকে সংকুচিত করে দেয়। ফলে শরীর স্বাভাবিকভাবে সেগুলো কান থেকে বের করে দিতে পারে না।

এমনকি ইয়ারফোন ব্যবহারে কানে আর্দ্রতা ও ঘামও আটকাতে পারে। এমনকি বাতাসের প্রবাহকেও প্রভাবিত করে, ফলে ইয়ারওয়াক্সগুলো শুকায় না সহজে।

একজিমা ও সোরিয়াসিস
ত্বকের অবস্থার কারণেও কিন্তু কানে ময়লা বেশি জমতে পারে। একজিমা ও সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের অবস্থাও এক্ষেত্রে দায়ী।

ডা. ওয়াইল্ডের মতে, মোমের উপর প্রভাব ফেলতে পারে যদি এটি কানের ভেতরে তৈরি হয়। ন্যাশনাল একজিমা সোসাইটির মতে, দীর্ঘ সময় ধরে কান ভেজা থাকার কারণে সংক্রামিত কানের একজিমা হয়।

আরো পড়ুন: হাত-পায়ে ঝিঁঝি ধরলে দ্রুত যা করবেন
কানে শোনার যন্ত্র
আপনি যদি শ্রবণযন্ত্র পরেন, তাহলেও কানের মোম তৈরি হওয়ার ঝুঁকি বেশি, ডা. ওয়াইল্ড বলেছেন। তার মতে, শ্রবণযন্ত্রগুলো কানের মধ্যে আর্দ্রতা বাড়ায় ও ঘাম গ্রন্থি (সেরমিনাস) দ্বারা কানের মোমের উৎপাদন বাড়াতে পারে। আবার সেগুলো সহজে শুকাতে পারে না ও স্বাভাবিক নিয়মে বেরও হতে পারে না।

নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারের ডক্টর জন কেয়ারুর মতে, যদি শ্রবণযন্ত্রগুলি ধারাবাহিকভাবে পরিষ্কার না করা হয়, তাহলে কানে মোম বেড়ে যায় ও সেগুলো সহজে বেরও হতে পারে না।

সূত্র: ডেইলি মেইল

Latest

For Advertisement

সম্পাদক ও প্রকাশক:- এ এফ এম রিজাউর রহমান (রুমেল), এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট  
  • প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
সহযোগী-সম্পাদক:
    • গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
সহ -সম্পাদক:
    • হাসিনা রহমান শিপন,
নিউজ রুম ইনচার্জ :
    রাশিকুর রহমান রিফাত
© সকল স্বত্ব প্রতিচ্ছবি ডটকম ২০১৫ - ২০২২ অফিস: ৭২/২ উত্তর মুগদাপাড়া, ঢাকা ই-মেইল: dailyprotichhobi@gmail.com | মোবাইল: ০১৮১৮০৯৩১৩৭ ফোন:+৮৮০২৭২৭৭১৪৭

Developed by WebsXplore