For Advertisement
যথাসময়ে নামাজ আদায়ের গুরুত্ব
ঈমানের পর ফরজ নামাজই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল। আল্লাহ মুমিন নর-নারীর ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন। মুমিনের দায়িত্ব হলো যথাসময়ে ফরজ নামাজ আদায় করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনের অবশ্য কর্তব্য।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১০৩)
যথাসময়ে নামাজের গুরুত্ব
কোরআন-হাদিসে যথাসময়ে নামাজ আদায়ের বহু তাগিদ আছে। নিম্নে তার কয়েকটি তুলে ধরা হলো।
১. জাহান্নামের আগুন নেভে : যথাসময়ে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে জাহান্নামের আগুন নির্বাপিত হয়। আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর এমন একজন ফেরেশতা আছে, যে প্রত্যেক নামাজের সময় ঘোষণা করে : হে মানবসন্তান, তোমরা তোমাদের সেই আগুনের প্রতি মনোযোগী হও, যা তোমরা (পাপের মাধ্যমে) প্রজ্বলিত করেছ। সুতরাং তা নির্বাপিত কোরো। ’ (সহিহ আত-তারগিব, পৃষ্ঠা ৩৫৮)
২. জান্নাতের প্রতিশ্রুতি : যথাসময়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে তার জন্য জান্নাতের প্রতিশ্রুতি আছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি তা যথাযথভাবে পালন করবে, আর অবহেলার কারণে এর কোনোটি পরিত্যাগ করবে না, মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর অঙ্গীকার করেছেন। আর যে ব্যক্তি তা (যথাযথভাবে) আদায় করবে না, তার জন্য আল্লাহর কাছে কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। তিনি ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তি দেবেন কিংবা জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। ’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ১৪২০)
৩. আল্লাহর ক্ষমা লাভ : যথাসময়ে নামাজ আদায় করলে আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মহান আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে নির্ধারিত সময়ে পূর্ণরূপে রুকু ও পরিপূর্ণ মনোযোগ সহকারে নামাজ আদায় করবে, তাকে ক্ষমা করার জন্য আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর যে ব্যক্তি এরূপ করবে না, তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। তিনি ইচ্ছা করলে তাকে ক্ষমা করবেন, অন্যথায় শাস্তি দেবেন। ’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪২৫)
৪. সর্বোত্তম আমল : উম্মু ফারওয়া (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে সর্বোত্তম আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, নামাজের সময় ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায় করা। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪২৬)
৫. ফেরেশতাদের দোয়া লাভ : সময়মতো নামাজ আদায়ের জন্য যারা সময়ের আগেই মসজিদে উপস্থিত হয় এবং নামাজের জন্য অপেক্ষা করে ফেরেশতারা তাদের জন্য দোয়া করে। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি যে পর্যন্ত মসজিদে নামাজের প্রতীক্ষায় থাকে, সে যেন নামাজের মধ্যেই থাকে, আর যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের কেউ মসজিদে থাকে ফেরেশতারা সে পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করতে থাকে, ‘হে আল্লাহ, তাকে ক্ষমা করুন, হে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করুন। ’ অজু ছুটে না যাওয়া পর্যন্ত তার জন্য দোয়া চলতে থাকে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৩০)
আল্লাহ সবাইকে যথাসময়ে নামাজ আদায়ের তাওফিক দিন। আমিন
লেখক : সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা
Latest
For Advertisement
- প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
-
- গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
-
- হাসিনা রহমান শিপন,
- রাশিকুর রহমান রিফাত
Developed by WebsXplore