For Advertisement
বসল পদ্মা সেতুতে রেলপথের শেষ স্লাব
আজ পদ্মা সেতুর রেলপথের সব স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হয়েছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মূল সেতুকে ২ হাজার ৯৫৯টি কংক্রিট স্ল্যাবের মাধ্যমে জোড়া দেওয়া হয়েছে। ১২ ও ১৩ নং পিয়ারের স্প্যানে শেষ রেলওয়ে স্লাব বসানোর কাজ সমাপ্ত হলো। এর ফলে রেলপথ ধরে এখন হেঁটে মূল সেতু (নদীর অংশ) পার হওয়া যাবে। তবে মূল সেতু থেকে মাটি পর্যন্ত (ঢালু উড়ালপথ) পথের কাজ শেষ হয়নি। আগামী ডিসেম্বরে তা শেষ হওয়ার কথা আছে। এরপর রেললাইন বসানো হবে।
এদিকে ২ হাজার ৯১৭টি স্লাব জোড়া দিয়ে সেতুর যানবাহন চলাচলের পথ তৈরি করার কথা। আর ২২৮টি স্ল্যাব জোড়া দিলেই এই কাজ শেষ হবে। যানবাহন চলাচলের পথে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে মূল সেতু থেকে মাটি পর্যন্ত উড়ালপথ শেষ হয়েছে। মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে আগামী মাসে শেষ হবে। সব মিলিয়ে সেপ্টেম্বরে মাওয়া থেকে জাজিরা পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের পথে হেঁটে পার হওয়া যাবে।
পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, আগামী বছর জুনে পদ্মা সেতু চালুর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ এগোচ্ছে। পদ্মা সেতু দ্বিতলবিশিষ্ট। এর ওপর তলায় চলাচল করবে যানবাহন। নিচতলায় চলবে ট্রেন। তবে পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্র বলছে, রেলপথের পাশে গ্যাসের পাইপলাইন বসানোসহ আরও কাজ বাকি আছে। রেল ও সেতুর আলাদা দুই সংস্থা এবং দুই ঠিকাদার একসঙ্গে কাজ করতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের আগে রেলপথ বুঝিয়ে দেওয়া কঠিন। সে ক্ষেত্রে দুই প্রান্তে রেললাইন বসালেও সেতু চালুর প্রথম দিন ট্রেন চালানো কঠিন হবে।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যানবাহন চলাচলের পথে স্লাাব বসানো সম্পন্ন হলে এর ওপর দুই মিলিমিটারের পানি নিরোধক একটি স্থর বসানো হবে, যা ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন নামে পরিচিত। এটি অনেকটা প্লাস্টিকের আচ্ছাদনের মতো। তারপর পাথর, সিমেন্ট ও বিটুমিন দিয়ে কয়েক স্থরের পিচ ঢালাই হবে। এর পুরুত্ব প্রায় ১০০ মিলিমিটার।
এ ছাড়া যানবাহন চলাচলের দুই পাশে দেয়াল ও সড়ক বিভাজক দিতে হবে, যা প্যারাপেট ওয়াল নামে পরিচিত। এই কাজও চলমান।
পদ্মা সেতুতে অন্য সেতুর মতো সড়কবাতি থাকবে। তবে বাড়তি হিসেবে পুরো সেতুতে স্থাপন করা হবে আর্কিটেকচারাল লাইটিং। এটি দিয়ে জাতীয় দিবস বা বড় কোনো উপলক্ষ এলে সেতুটি নানা রঙে আলোকিত করা যাবে। দুবাইয়ের বুর্জ আল খলিফা টাওয়ারসহ বড় বড় স্থাপনায় এমন আলোকসজ্জার ব্যবস্থা আছে। নদীতে পিলারের ওপর স্টিলের কাঠামো (স্প্যান) দিয়ে তৈরি হয়েছে মূল সেতু। এর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। এর বাইরে দুই প্রান্তে ঢালু উড়ালপথের মাধ্যমে মূল সেতুকে মাটির সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। ভায়াডাক্ট নামে পরিচিত এ উড়ালপথের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে সেতুর মোট দৈর্ঘ্য দাঁড়াচ্ছে ৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার।
Latest
For Advertisement
- প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
-
- গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
-
- হাসিনা রহমান শিপন,
- রাশিকুর রহমান রিফাত
Developed by WebsXplore