For Advertisement
নির্বাচনের ফল জটিলতা সমাধানে সাবেক নেতৃত্বের ভূমিকা চায় সুপ্রিম কোর্ট বার
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা সমাধানে সংগঠনটিতে নেতৃত্ব দিয়ে আসা সাবেকদের ভূমিকা চায় বর্তমান কমিটি। সমিতির সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে এই জটিলতা সমাধানে পথ বের করতে অনুরোধও রেখেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি।
বুধবার নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে লম্বা বৈঠক করেছে বারের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি। এতে সভাপতির দায়িত্বে থাকা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ছাড়া কমিটির ১৩জন উপস্থিত ছিলেন।
তাদের স্বাক্ষরিত বৈঠকের সিদ্ধান্তের কথা সাবেক দুই শীর্ষ পদের নেতাদের অবহিত করা, বৈঠক করাসহ সার্বিক সমন্বয়ের জন্য দুজনকে দায়িত্বও দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন ও মুহাম্মদ শফিক উল্যাকে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছেন, সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল।
জানা গেছে, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় আগামী সাত দিনের মধ্যে বারের সাবেক সভাপতি ও সম্পাদকরা উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকেই ফলাফল ঘোষণার বিষয়ে চলমান জটিলতার অবসান হবে এমন প্রত্যাশা বর্তমান কমিটির। সাবেক নেতৃবৃন্দের কাছে বৃহস্পতিবার থেকে চিঠি পৌঁছে দেয়া হবে।
গত ১৫ ও ১৬ মার্চ ২০২২-২০২৩ সেশনের নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য ভোট হয়েছে। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক পদে পুনরায় ভোট গণনা চেয়ে এক প্রার্থীর আবেদনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়কের পদত্যাগের কারণে এখনো হয়নি ফলাফল ঘোষণা।
সুপ্রিম কোর্ট বারের ইতিহাসে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি। তাই বিষয়টি নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন আইনজীবীরা। ইতিমধ্যে সিনিয়র আইনজীবীরা নিজেদের মধ্যে এ নিয়ে করণীয় ঠিক করতে নিজেরা আলাপ আলোচনা করছেন বলে জানা গেছে।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৮ হাজার ৬২৩ জন। আর দুই দিনে ভোট দিয়েছেন ৫ হাজার ৯৮২ জন। নির্বাচন শেষে ভোট গণনার পর ১৬ মার্চ রাতে ফল ঘোষণার কথা। কিন্তু সম্পাদক পদে ভোটের হিসাব নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় সেই ফল এখনো ঘোষণা করা যায়নি।
জানা যায়, ১৭ মার্চ দিবাগত রাত ১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হয়। তাতে দেখা যায়, সভাপতিসহ ৬টি পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত সাদা প্যানেল এগিয়ে।
আর সম্পাদকসহ ৮টি পদে বিএনপি-সমর্থিত নীল প্যানেল। ওই সময় নির্বাচন কমিশনের কাছে নতুন করে সম্পাদক পদে ভোট গণনার আবেদন করা হয়। এক পর্যায়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে পদত্যাগ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ ওয়াই মশিউজ্জামান।
এদিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফল ঘোষণা বা দায়িত্ব হস্তান্তর না হলে কী হবে, সেই বিষয়ে গঠনতন্ত্রে কিছু বলা নেই বলে জানা গেছে। তবে পরবর্তি কমিটি দায়িত্ব নেয়ার আগ পর্যন্ত বর্তমান কমিটি কাজ করতে পারবেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
বর্তমান কমিটির মেয়াদের বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল ঢাকাটাইমসকে বলেন, আগামী সাধারণ সভা পর্যন্ত বর্তমান কমিটির মেয়াদ আছে। আশা করি চলমান সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।
Latest
For Advertisement
- প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
-
- গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
-
- হাসিনা রহমান শিপন,
- রাশিকুর রহমান রিফাত
Developed by WebsXplore