Thursday 25 April, 2024

For Advertisement

ইফতারে ডাবের পানি কেন জরুরি?

16 April, 2021 4:04:42

পবিত্র রমজান শুরু হয়েছে। রোজা রাখার ফলে প্রায় প্রত্যেকের দেহে পানিস্বল্পতা দেখা দেয়। দিন শেষে ক্লান্তি-অবসাদ ভর করে। কোনো কাজে মন সায় দেয় না। কিন্তু এসব সমস্যা দূরে বলা চলে ম্যাজিকের মতো কাজ করে ডাবের পানি।

এ ব্যাপারে নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (সায়েন্টিফিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড রিলেশন) পুষ্টিবিদ সামিনা জামান কাজরী বলেন, রোজার ফলে শরীরে পানিস্বল্পতা দেখা দেয়। বিশেষ করে করোনার মধ্যে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। এজন্য ইফতারের খাবার সামগ্রীগুলো এমন হওয়া উচিত, যেখানে খাবারের পুষ্টিমান এবং পানি ও পানীয়ের সুষম বণ্টন থাকে। এজন্য ডাবের পানি ইফতারের আয়োজনে থাকলে অনেক বেশি উপকার হবে। কারণ ডাবের পানিতে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বো-হাইড্রেড, ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। তাছাড়া বর্তমান গরম আবহাওয়া বিবেচনাতেও ডাবের পানি আরও কার্যকর।

১০০ গ্রাম ডাবের পানিতে ৯৪ গ্রামই থাকে পানি। অল্প পরিমাণে ফ্যাট, কার্বো-হাইড্রেড ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ রয়েছে। ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাংগানিজ, সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভালো সমন্বয় রয়েছে ডাবের পানিতে। এর বাইরে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র অঙ্গপ্রতঙ্গ কার্যকর হয়ে ওঠে।

ডাবের পানিতে যে খনিজ লবণ সবচেয়ে বেশি থাকে তা হলো পটাশিয়াম। শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি কমাতে ডাবের পানি খুব উপকারি। অনেক কিডনি রোগীর ইলেকট্রোলাইড ইমব্যালন্স হলেও পটাশিয়াম কমে যেতে পারে। সুতরাং এ ধরনের জটিলতায় ভুগছেন, এমন রোগীদের ইফতারে ডাবের পানি খুবই কাজ দেবে। উচ্চরক্তচাপের কারণে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু ডাবের পানিতে পটাশিয়াম থাকায় সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখে।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে কতটুকু ডাবের পানি পান করতে হবে? এ বিষয়ে সামিনা জামান কাজরী বলেন, ইফতারে নানা পদের ফলের সাথে ডাবের পানি পান না করে বিকল্প দিনে করতে পারে। প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির জন্য এক গ্লাসই পানিই যথেষ্ট। অনেক ক্ষেত্রে ডাবের পানির সাথে চিড়া ভিজিয়ে খেলে উপকার হবে। শিশুরা ডাবের পানি খেতে না চাইলে, এটি দিয়ে তাদের জন্য পুডিং বানানো যেতে পারে। এতে ক্যালরির ক্ষেত্রে খুব একটা কাজ দেবে না। তবে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শিশুর দেহ গঠনে ভূমিকা রাখবে।

তিনি জানান, রোজার কারণে ত্বকে প্রভাব পড়ে। কিন্তু ডাবের পানিতে থাকে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে ইফতারে এটি থাকলে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল থাকবে। ক্লান্তি, স্ট্রেস, পানিস্বল্পতা দূরের পাশাপাশি ডাবের পানিতে এমন কিছু উপাদান থাকে যা কিডনিকে পাথর জমার হাত থেকে রক্ষা করে বলে জানান সামিনা জামান কাজরী।

তবে ডাবের পানি খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বর করা উচিত। এ বিষয়ে চট্টগ্রামের ইমপেরিয়াল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ মাহফুজা আফরোজ সাথী জানান, কিছু ক্ষেত্রে ডাবের পানির অপকারী দিক রয়েছে। যেমন- এটি রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। তাই যারা হাইপারটেনশনে ভুগছেন, তারা ডাবের পানি কম খাবেন। কিডনি রোগীর ক্ষেত্রে অবশ্যই প্লাজমা ইলেকট্রোলাইড রিপোর্ট দেখে ডাবের পানি খাওয়া বাঞ্চনীয়। ডাবের পানি ন্যাচারাল লেক্সেটিভ, অতিরিক্ত পানে পাতলা পায়খানা হতে পারে।

যাদের হার্ট অ্যাটাক বা হার্টের মাসল দুর্বল, তাদের ডাবের পানি দেওয়া খুবই বিপজ্জনক। কেন না ডাবের পানিতে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে, যা কার্ডিয়াক মাসলের ওপর কাজের চাপ বাড়িয়ে দেয়। ডাবের পানিতে খুব বেশি চিনি থাকে না। তবুও অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রোগীর জন্য এটি খুব একটা নিরাপদ নয় বলে মনে করেন তিনি।

সূত্র: ডক্টর টিভি

For Advertisement

সম্পাদক ও প্রকাশক:- এ এফ এম রিজাউর রহমান (রুমেল), এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট  
  • প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
সহযোগী-সম্পাদক:
    • গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
সহ -সম্পাদক:
    • হাসিনা রহমান শিপন,
নিউজ রুম ইনচার্জ :
    রাশিকুর রহমান রিফাত
© সকল স্বত্ব প্রতিচ্ছবি ডটকম ২০১৫ - ২০২২ অফিস: ৭২/২ উত্তর মুগদাপাড়া, ঢাকা ই-মেইল: dailyprotichhobi@gmail.com | মোবাইল: ০১৮১৮০৯৩১৩৭ ফোন:+৮৮০২৭২৭৭১৪৭

Developed by WebsXplore