- গরমে পেট ঠিক রাখতে
- কাঁচা আমে টেংরা মাছের ঝোল
- সারাদেশে হিট অ্যালার্ট নিয়ে আরও দুঃসংবাদ
- যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর উদাত্ত আহ্বান
- আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি
- দেশে সন্তানের ‘পূর্ণ অভিভাবকত্ব’ পাওয়া প্রথম মা অভিনেত্রী বাঁধন
- ফিলিস্তিনিদের অনুদান দিয়েছে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশি মুসলিম কমিউনিটি
- ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার জ্বালানি স্থাপনায় আগুন
- মুখের ছুলির দাগ দূর করার সহজ পদ্ধতি
- মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যকে হস্তান্তর
মাসকারা-লিপস্টিকে ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক: গবেষণা
জনপ্রিয় প্রসাধনী সামগ্রী যেমন ওয়াটারপ্রুফ মাসকারা, লিকুইড লিপস্টিক (লিপগ্লস) এবং ফাউন্ডেশনে ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। আরও উদ্বেগের ব্যাপার হলো, পণ্যেগুলোর মোড়কে তা উল্লেখ করা থাকে না।
গবেষকরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২৩১টি প্রসাধনী পণ্য পরীক্ষা করেছেন এবং অর্ধেকের বেশি পণ্যে ফ্লুরিনের উচ্চ মাত্রা পেয়েছেন, যা পিএফএএস নামক সম্ভাব্য বিষাক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতি নির্দেশ করে।
এই গবেষণাপত্রের অন্যতম লেখক যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন সায়েন্স পলিসি ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী টমাস ব্রুটন বলেন, ‘পিএফএএস ভেঙে না গিয়ে শরীরে টিকে থাকে, যা স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।’ গবেষণাপত্রটি ১৫ জুন ২০২১ তারিখে এনভায়রনমেন্টল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি লেটারর্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
পিএফওএ এবং পিএফওএস নামক দুটি পিএএফএস রাসায়নিক বেশি কিছু ধরনের ক্যানসার, থাইরয়েডসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির সঙ্গে সম্পর্কিত। এ ধরনের রাসায়নিক কীভাবে মানব শরীরে প্রবেশ করে তা জানতে প্রসাধনী পণ্য এবং বর্জ্য পানি নিয়ে গবেষণা করেছিলেন গবেষকরা।
গবেষণায় তিন চর্তুথাংশেরও বেশি ওয়াটারপ্রুফ মাসকারা, প্রায় দুই তৃতীয়াংশের বেশি ফাউন্ডেশন ও লিকুইড লিপস্টিকে (লিপগ্লস) ফ্লুরিনের উচ্চ মাত্রা পাওয়া যায়, যা পিএফএএসের উপস্থিতি নির্দেশ করে।
বিজ্ঞানী টমাস ব্রুটন বলেন, ‘এ ব্যাপারটি আমাদের কাছে বোধগম্য কারণ বেশ কিছু পণ্য পানিরোধী বা দীর্ঘস্থায়ী হিসেবে বাজারজাত করা হয়। এগুলো এমন ধরনের বৈশিষ্ট্য যা বোঝায়, পিএফএএস ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে।’
গবেষক দলটি আরো বিশ্লেষণের জন্য উচ্চ ফ্লুরিন মাত্রার ২৯টি পণ্য বেছে নিয়েছিলেন এবং সেগুলোতে কমপক্ষে চার ধরনের পিএফএএস দেখতে পেয়েছেন। যা খুবই উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন তারা। উচ্চমাত্রার ফ্লুরিনের প্রায় ৯০ শতাংশ পণ্যে পিএফএএস রয়েছে বলে গবেষণায় জানা গেছে। এমনকি পণ্যগুলোতে পিএফএএস রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, তা পণ্যের মোড়কে উল্লেখ করা ছিল না।
পণ্যের মোড়কে উল্লেখ না থাকার ফলে পিএফএএস এড়ানোর ক্ষেত্রে মানুষজনের করণীয় বেশি কিছু নেই, তাই গবেষকরা এ ব্যাপারে সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
ব্রুটন বলেন, ‘আমরা যেসব প্রসাধনী পণ্য পরীক্ষা করেছি, তার অর্ধেক পণ্যে উচ্চমাত্রার ফ্লুরিন ছিল না। যা বোঝায় যে, পিএফএএস ব্যবহার না করেও প্রসাধনী পণ্য তৈরি করা সম্ভব। তাই এর ব্যবহার বন্ধ করা খুব কঠিন কিছু হওয়া উচিত নয়।’
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: